বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ইন্না আতাইনা কাল কাওসার
সূরা কাউসার
সূরা কাউসার পরিচয়
- সূরার নাম: সূরা আল-কাউসার
- সূরার আয়াত সংখ্যা: ৩
- সূরার অবতীর্ণ স্থান: মক্কা
- সূরার রুকু সংখ্যা: ১
সূরা কাউসার ফযিলত
- হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাউসার পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি নদী থাকবে।” ([আহমাদ: ৬/২৮৪, তিরমিযী: ২৯০৮, ইবনে মাজাহ: ৩৮০৮])
- অন্য হাদিসে এসেছে, “সূরা কাউসার কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা।” ([তিরমিযী: ২৯০৭])
সূরা কাউসার বিষয়বস্তু
- আল্লাহর কাছ থেকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ ও বর প্রদানের বর্ণনা
- কাউসার নামক জান্নাতের একটি নদীর বর্ণনা
- নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি আল্লাহর রহমত ও বরকতের প্রতিশ্রুতি
সূরা কাওসার অডিও
সূরা কাউসার
আরবি | বাংলা উচ্চারণ | অর্থ |
إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ | ইন্না আ’তাইনা-কাল কাওছার। | নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। |
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ | ফাসালিল লিরাব্বিকা ওয়ানহার। | অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। |
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلْأَبْتَرُ | ইন্না শা-নিআকা হুওয়াল আবতার। | যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ। |
সূরা কাউসার তেলাওয়াতের নিয়ম
- সূরা কাউসার প্রতিদিন ৫ বার নামাজের পর তেলাওয়াত করা উত্তম।
- তবে, দিনের যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা যাবে।
- তেলাওয়াতের সময় নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- সূরা কাউসার কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরা।
- এই সূরাতে মাত্র ৩টি আয়াত এবং ১০টি শব্দ রয়েছে।
- সূরা কাউসার নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও বর প্রদানের সুসংবাদ বহন করে।
- নিয়মিত সূরা কাউসার তেলাওয়াতের ফলে অনেক ফযিলত ও বরকত লাভ করা যায়।
ইন্না আতাইনা কাল কাওসার,ইন্না আতাইনা কাল কাওসার