বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে জুম্মার নামাজকে কেন গরিবের হজ্জ বলা হয়
জুম্মার নামাজকে গরিবের হজ্জ বলা হয় কারণ এটি হজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যদিও এটি হজের সমতুল্য নয়।
কিছু কারণ
- সাথে মিলে ইবাদত: হজের মতো, জুমার নামাজও জামায়েত হয়ে আদায় করা হয়। মুসলমানরা সপ্তাহে একবার মসজিদে একত্রিত হয় জুমার নামাজ আদায়ের জন্য, যা ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য এবং সম্প্রীতির বোধ তৈরি করে।
- পাপের মাফ: হজের মতো, জুমার নামাজও পাপের মাফের মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সকালে গোসল করে, তারপর মসজিদে যায় এবং খুতবা শুনে মনোযোগ সহকারে, তার পূর্ববর্তী জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (সহীহ বুখারী)
- দোয়া কবুল: হজের মতো, জুমার দিনে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জুমার দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে দোয়া করা সুন্নত, যেমন খুতবার আগে এবং পরে।
- আত্ম-পরিশোধন: হজের মতো, জুমার নামাজও মুসলমানদেরকে তাদের গুনাহের জন্য অনুশোচনা করতে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ করে দেয়।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যও রয়েছে
- হজ ফরজ, জুমা ওয়াজিব: হজ সকল সক্ষম ও সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফরজ, যখন জুমার নামাজ ওয়াজিব।
- হজ বছরে একবার, জুমা সপ্তাহে একবার: হজ জীবনে একবার আদায় করা হয়, যখন জুমার নামাজ প্রতি সপ্তাহে পালন করা হয়।
- হজের জন্য মক্কায় যাওয়া প্রয়োজন, জুমার জন্য মসজিদে হাজির হওয়া যথেষ্ট: হজ আদায়ের জন্য মুসলমানদেরকে অবশ্যই মক্কায় যেতে হয়, যখন জুমার নামাজ যেকোনো মসজিদে আদায় করা যায়।
জুম্মার নামাজকে “গরিবের হজ্জ” বলা হয় কারণ এটি হজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যেমন সামাজিক সম্প্রীতি, পাপের মাফ, দোয়া কবুল এবং আত্ম-পরিশোধন। তবে, হজ এবং জুমার নামাজের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যও রয়েছে, যেমন তাদের বাধ্যতামূলকতা, পালন করার ঘনত্ব এবং স্থান।
জুম্মার নামাজকে কেন গরিবের হজ্জ বলা হয়