নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত বক্তৃতা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত বক্তৃতা

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

সর্ব প্রথমে আমরা সকলে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি যিনি আমাদেরকে ইসলামের পবিত্র আলোয় আলোকিত করেছেন এবং আমাদেরকে নামাজের মতো মহান ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ দান করেছেন। এরপর রহমত ও বরকতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর দরূদ ও সালাম পাঠাই।

Hello Moon google News

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা,

আজকের এই বক্তৃতায় আমরা আলোচনা করব নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে।

নামাজের গুরুত্ব

ইসলামের স্তম্ভগুলির মধ্যে নামাজ সর্বোচ্চ স্তম্ভ। ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ। হাদিসে রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “ইমান ও কুফরির মাঝে পার্থক্য হলো নামাজ। যে নামাজ ছেড়ে দেয় সে কুফরি করে।” ([সুনানে নাসায়ী, ৪৬৩])

আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারীমে বারবার নামাজের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

  1. সূরা আন-নিসায় আল্লাহতায়ালা বলেন, “তোমরা নিয়মিত নামাজ আদায় করো, যাকাত দান করো এবং রাসূলের প্রতি অনুগত থাকো।” (৪:৫৯)
  2. সূরা বাকারায় আল্লাহতায়ালা বলেন, “তোমরা কি আমার আহ্বানে সাড়া দেবে না? তোমরা কি আমার ভয় পাবে না?” ([২:১৮৯])

নামাজের ফজিলত

নামাজের অগণিত ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত হলো

  1. আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ: নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করি। আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারীমে বলেন, “তোমরা যখন আমার সাথে কথা বলবে তখন আমি তোমাদের কথা শুনব।” (৪০:১৮)
  2. গুণাহ্ মাফ হওয়া: নামাজ গুনাহ্ মাফ করার অমূল্য মাধ্যম। হাদিসে রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুনাহ্ মুছে ফেলে যেমন পানি ময়লা মুছে ফেলে।” (বুখারী, ৬৬৭)
  3. জান্নাত লাভ: নামাজ জান্নাত লাভের মূল চাবিকাঠি। হাদিসে রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যে জান্নাতের আশায় নিয়মিত নামাজ আদায় করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী, ৫৭০)

Spread the love

মন্তব্য করুন