তওবা করার দোয়া

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে তওবা করার দোয়া

তওবা করার জন্য নির্দিষ্ট কোন একটি দোয়া নেই। তবে, কিছু দোয়া আছে যা তওবার সময় বলা উত্তম।

সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ তওবার দোয়া হল

উচ্চারণআস্তাগফিরুল্লাহ
অর্থআমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।
Hello Moon google News

এই দোয়াটি যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে বলা যেতে পারে। তওবার সময় এটি বারবার বলা উত্তম।

আরও কিছু দোয়া

উচ্চারণআল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাকতানি, ওয়া আনানি, ওয়া রাব্বাইয়ানি, ওয়া বালআগতানি, ওয়া আকালতানি, ওয়া সাওয়াইতানি, ওয়া আনামাতানি, ওয়া আন’আমতানি ফা-শুকরান লাকা ‘আলা মা আন’আমতানি, ওয়া আস্তাগফিরুকা ‘আলা মা আকালতু।
অর্থ হে আল্লাহ! আপনি আমার রব, আপনার চেয়ে আর কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমাকে বড় করেছেন, আমাকে রুজি দিয়েছেন, আমাকে বয়স্ক করেছেন, আমাকে খাইয়েছেন, আমাকে পান করিয়েছেন, আমাকে পোশাক দিয়েছেন, আমাকে অনেক অনুগ্রহ করেছেন। আপনার অনুগ্রহের জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, এবং আমি আমার অপরাধের জন্য আপনার কাছে ক্ষমা চাই।
উচ্চারণআল্লাহুম্মা আত্তুব ইলাইকা মিন কুল্লি যানবিন আওয়াযিন ওয়া ফাশিন ওয়া রায়িন ওয়া আমালিন ওয়া আকওয়ালিন।
অর্থহে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাই, আমার সকল গোপন ও প্রকাশ্য পাপের জন্য ক্ষমা চাই, আমার সকল চিন্তা ও কর্মের জন্য ক্ষমা চাই।
উচ্চারণআল্লাহুম্মা আগফিরলি যুলুমি ওয়া ইসরাফি ওয়া মা কানা মিননি।
অর্থ হে আল্লাহ! আমার অন্যায় ও অপচয়ের জন্য আমাকে ক্ষমা করুন, এবং আমার যা যা ভুল হয়েছে তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন।

তওবা করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত

  1. তওবা আন্তরিক হতে হবে। কেবল মুখে দোয়া বলা যথেষ্ট নয়, বরং মনে সত্যিকারের অনুশোচনা ও আল্লাহর কাছে ফিরে আসার ইচ্ছা থাকতে হবে।
  2. তওবা দ্রুত করতে হবে। পাপের পর দেরি না করে দ্রুত তওবা করা উচিত।
  3. তওবা করে ভবিষ্যতে আর পাপ না করার দৃঢ় প্রত্যয় করতে হবে।
  4. তওবার সাথে সাথে পাপের প্রতিফল যদি মানুষের হাতে থাকে, তাহলে তা পরিশোধ করতে হবে। যেমন, কারো অধিকার হরণ করা হলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে, গীবত করা হলে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, ইত্যাদি।

তওবা করার দোয়া,তওবা করার দোয়া,তওবা করার দোয়া

Spread the love

মন্তব্য করুন