বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শবে বরাতের নামাজ
শবে বরাত মুসলমানদের একটি বিশেষ রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদের ভাগ্যলিপি লিখে দেন। এই রাতের ইবাদতের ফজিলত অপরিসীম।
শবে বরাতের নামাজ
- নির্দিষ্ট নামাজ নেই: শবে বরাতের জন্য কোন নির্দিষ্ট নামাজ কোরআন বা হাদিসে উল্লেখ নেই। তবে, এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর জন্য হাদিসে উৎসাহিত করা হয়েছে।
- নফল নামাজ:
- কত রাকাত: যত খুশি, দু’রাকাত করে।
- কিভাবে পড়বেন:
- নিয়ত: “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।”
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
- কিছু বিশেষ নামাজ:
- চার রাকাত: প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস তিনবার।
- ছয় রাকাত:
- প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন।
- পরের দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস।
- শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ফালাক।
- আট রাকাত:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঁচবার।
- অন্যান্য ইবাদত:
- দোয়া:
- এই রাতে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
- বিশেষ করে, মাগফিরাতের দোয়া, রিযিকের দোয়া, ঈমানের দোয়া, পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করা উচিত।
- কুরআন তিলাওয়াত:
- এই রাতে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করার চেষ্টা করা উচিত।
- কমপক্ষে কিছু অংশ তিলাওয়াত করা উচিত।
- তাহাজ্জুদ:
- শবে বরাতের রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত অপরিসীম।
- জিকির-আযকার:
- এই রাতে বেশি বেশি জিকির-আযকার করা উচিত।
- সদকা-খয়রাত:
- এই রাতে সদকা-খয়রাত করার ফজিলত অপরিসীম।
- দোয়া:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- এক রাতের ইবাদতে সারাবছরের গুনাহ মাফ হয় না। তাই, সারাবছর নিয়মিত ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
- শবে বরাতের রাতে বিশেষ কোনো আমলের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে কিছু উল্লেখ নেই। তাই, হাদিসের বাইরে গিয়ে কোনো আমল করা উচিত নয়।
- শবে বরাতের রাতকে কেন্দ্র করে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। যেমন: রাত জেগে কাটানো, বিশেষ খাবার তৈরি করা, ইত্যাদি।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
শবে বরাতের নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন রাকাত নির্ধারিত নেই। হাদিসে কেবল এ রাতে নফল নামাজ পড়ার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
আপনি যত ইচ্ছা, দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে পারেন।
কিছু উদাহরণ:
- চার রাকাত:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস তিনবার।
- ছয় রাকাত:
- প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন।
- পরের দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস।
- শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ফালাক।
- আট রাকাত:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঁচবার।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- নিয়ত:
- নামাজ শুরু করার আগে “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ছি” এই নিয়ত করুন।
- সুরা:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
- দোয়া:
- নামাজ শেষে বিশেষ করে মাগফিরাতের দোয়া, রিযিকের দোয়া, ঈমানের দোয়া, পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করা উচিত।
মনে রাখবেন:
- শবে বরাতের রাতকে কেন্দ্র করে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। যেমন: রাত জেগে কাটানো, বিশেষ খাবার তৈরি করা, ইত্যাদি। এসব কুসংস্কার থেকে বিরত থাকুন।
- এক রাতের ইবাদতে সারাবছরের গুনাহ মাফ হয় না। তাই, সারাবছর নিয়মিত ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
শবে বরাত মুসলমানদের একটি বিশেষ রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদের ভাগ্যলিপি লিখে দেন। এই রাতের ইবাদতের ফজিলত অপরিসীম।
নামাজের নিয়ম:
- নির্দিষ্ট নামাজ নেই:
- শবে বরাতের জন্য কোন নির্দিষ্ট নামাজ কোরআন বা হাদিসে উল্লেখ নেই।
- তবে, এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর জন্য হাদিসে উৎসাহিত করা হয়েছে।
- নফল নামাজ:
- কত রাকাত: যত খুশি, দু’রাকাত করে।
- কিভাবে পড়বেন:
- নিয়ত: “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।”
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
- কিছু বিশেষ নামাজ:
- চার রাকাত:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস তিনবার।
- ছয় রাকাত:
- প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন।
- পরের দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস।
- শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ফালাক।
- আট রাকাত:
- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঁচবার।
- চার রাকাত:
- অন্যান্য ইবাদত:
- দোয়া:
- এই রাতে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
- বিশেষ করে, মাগফিরাতের দোয়া, রিযিকের দোয়া, ঈমানের দোয়া, পরিবার-পরিজনের জন্য দোয়া করা উচিত।
- কুরআন তিলাওয়াত:
- এই রাতে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করার চেষ্টা করা উচিত।
- কমপক্ষে কিছু অংশ তিলাওয়াত করা উচিত।
- তাহাজ্জুদ:
- শবে বরাতের রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত অপরিসীম।
- জিকির-আযকার:
- এই রাতে বেশি বেশি জিকির-আযকার করা উচিত।
- সদকা-খয়রাত:
- এই রাতে সদকা-খয়রাত করার ফজিলত অপরিসীম।
- দোয়া:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- এক রাতের ইবাদতে সারাবছরের গুনাহ মাফ হয় না। তাই, সারাবছর নিয়মিত ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত।
- শবে বরাতের রাতকে কেন্দ্র করে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। যেমন: রাত জেগে কাটানো, বিশেষ খাবার তৈরি করা, ইত্যাদি। এসব কুসংস্কার থেকে বিরত থাকুন।
- হাদিসের বাইরে গিয়ে কোনো আমল করা উচিত নয়।