বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আখিরাত শব্দের অর্থ কি
Table of Contents
আখিরাত শব্দের অর্থ কি
আখিরাত শব্দের অর্থ হল পরকাল। ইসলামী পরিভাষায়, মৃত্যুর পরের জীবনকে আখিরাত বলে। আখিরাতের জীবন চিরস্থায়ী। এ জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। আখিরাতে মানুষের দুনিয়ার কাজকর্মের হিসাব নেওয়া হবে এবং অতঃপর ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।
আখিরাতের জীবনের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:
- কবর: মানুষের মৃ’ত্যু’র পর তার দেহকে কবর দেওয়া হয়। কবর হল আখিরাতের জীবনের প্রথম স্তর।
- কিয়ামত: কিয়ামত হল বিশ্ব ধ্বংসের দিন। কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সকল মানুষ পুনরুত্থিত হবে।
- হাশর: হাশর হল পুনরুত্থানকৃত সকল মানুষকে একত্রিত করার স্থান। হাশরের দিনে সকল মানুষকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করানো হবে।
- মিজান: মিজান হল আমলনামা ওজন করার পাল্লা। মিজান দিয়ে মানুষের আমলনামা ওজন করা হবে।
- সিরাত: সিরাত হল জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে একটি সরু পথ। সিরাত পার হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে মানুষ জান্নাত বা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
- জান্নাত: জান্নাত হল আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈমানদারদের জন্য নির্ধারিত চিরস্থায়ী আবাসস্থল। জান্নাতে সকল সুখ-শান্তি ও আরামের ব্যবস্থা থাকবে।
- জাহান্নাম: জাহান্নাম হল আল্লাহর পক্ষ থেকে কাফের ও পাপীদের জন্য নির্ধারিত চিরস্থায়ী আবাসস্থল। জাহান্নামে সকল কষ্ট ও শাস্তি থাকবে।
আখিরাতের জীবনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলামের একটি মূল বিষয়। আখিরাতের জীবনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে মানুষ দুনিয়াতে ভালো কাজ করার উৎসাহ পায় এবং পরকালে জান্নাত লাভের আশা করে।
আখিরাত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কি কি
আখিরাতের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হল:
- কবর: কবর হল আখিরাতের জীবনের প্রথম স্তর।
- কিয়ামত: কিয়ামত হল বিশ্ব ধ্বংসের দিন। কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করানো হবে।
- হাশর: হাশর হল পুনরুত্থানকৃত সকল মানুষকে একত্রিত করার স্থান। হাশরের দিনে সকল মানুষকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করানো হবে।
- মিজান: মিজান হল আমলনামা ওজন করার পাল্লা। মিজান দিয়ে মানুষের আমলনামা ওজন করা হবে।
- সিরাত: সিরাত হল জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে একটি সরু পথ। সিরাত পার হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে মানুষ জান্নাত বা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
- জান্নাত: জান্নাত হল আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈমানদারদের জন্য নির্ধারিত চিরস্থায়ী আবাসস্থল। জান্নাতে সকল সুখ-শান্তি ও আরামের ব্যবস্থা থাকবে।
- জাহান্নাম: জাহান্নাম হল আল্লাহর পক্ষ থেকে কাফের ও পাপীদের জন্য নির্ধারিত চিরস্থায়ী আবাসস্থল। জাহান্নামে সকল কষ্ট ও শাস্তি থাকবে।
আখিরাতের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আমল করা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য।
আখিরাত সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
- আখিরাত হল মৃ’ত্যু’র পরের জীবন।
- আখিরাতের জীবন হল অনন্তকালের জীবন।
- আখিরাতের জীবনে মানুষের কর্মের হিসাব নেওয়া হবে।
- আখিরাতের জীবনে ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।
- আখিরাতের জীবনে মানুষের চিরস্থায়ী আবাসস্থল হবে জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
আখিরাতের জীবন সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী আমল করা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য।
আখিরাতে বিশ্বাসের গুরুত্ব
আখিরাতে বিশ্বাসের গুরুত্ব অনেক। আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আখিরাতে বিশ্বাসের কিছু গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য দেয়। মানুষ জানে যে, এই জীবনের সমাপ্তি নেই। এই জীবনের কাজকর্মের জন্য পরকালে হিসাব দিতে হবে। এই জ্ঞান মানুষকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে।
- আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। মানুষ জানে যে, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে। এই জ্ঞান মানুষকে ভালো কাজ করতে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে।
- আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি প্রদান করে। মানুষ জানে যে, তার ভালো কাজের জন্য তাকে আল্লাহর কাছে পুরস্কার পাওয়ার আশা আছে। এই জ্ঞান মানুষকে মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি প্রদান করে।
- আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনে সৎ ও ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। মানুষ জানে যে, আল্লাহ সৎ ও ন্যায়পরায়ণ লোকদের ভালোবাসে এবং তাদেরকে জান্নাতের সুখ দেবেন। এই জ্ঞান মানুষকে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হতে উৎসাহিত করে।
আখিরাতে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ নিম্নলিখিত সুফল লাভ করতে পারে:
- মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।
- মানুষের নৈতিকতা ও চরিত্র গঠিত হয়।
- মানুষের মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভ হয়।
- সমাজে সৎ ও ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠা হয়।
সুতরাং, আখিরাতে বিশ্বাস মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক মানুষের উচিত আখিরাতে বিশ্বাস করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা।