বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ৮ টি জান্নাতের নাম অর্থসহ
Table of Contents
৮ টি জান্নাতের নাম অর্থসহ
জান্নাত হলো আল্লাহর নেককার বান্দাদের চিরস্থায়ী ভোগ-বিলাসের স্থান।জান্নাতের বৈশিষ্ট্য চিরস্থায়ী সুখ-শান্তি জান্নাতে কোন দুঃখ-কষ্ট নেই, শুধু চিরস্থায়ী সুখ-শান্তি রয়েছে।সুন্দর পরিবেশ জান্নাতে অসাধারণ সুন্দর পরিবেশ রয়েছে, যা আমাদের কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর।
১। জান্নাতুল ফিরদাউস: জান্নাতের সর্বোচ্চ বাগান। | অর্থ: সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, বিলাসিতা, এবং চিরস্থায়ী আনন্দের স্থান। |
২। দারুল মাকাম: চিরস্থায়ী বাসস্থান। | অর্থ: আল্লাহর নিকটতম স্থান যেখানে বান্দারা চিরকাল বসবাস করবে। |
৩। দারুল কারার: আখেরাতের আলয়। | অর্থ: জান্নাতের একটি স্তর যেখানে বান্দারা পূর্ণ পুরস্কার পাবেন। |
৪। দারুস সালাম: শান্তির নীড়। | অর্থ: শান্তি, নিরাপত্তা, এবং ভালোবাসার স্থান। |
৫। জান্নাতুল মাওয়া: বসবাসের জান্নাত। | অর্থ: চিরস্থায়ী বাসস্থান এবং সুখের স্থান। |
৬। দারুন নাঈম: নেয়ামত পূর্ণ কানন/বাগান। | অর্থ: অফুরন্ত নেয়ামত, সৌন্দর্য, এবং আনন্দের স্থান। |
৭। দারুল খুলদ: চিরস্থায়ী বাগান। | অর্থ: যেখানে বান্দারা চিরকাল সুখে-শান্তিতে বাস করবে। |
৮. জান্নাতুল আদন: অনন্ত সুখের বাগান। | অর্থ: চিরস্থায়ী সুখ, সৌন্দর্য, এবং আনন্দের স্থান। |
উল্লেখ্য: বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতের আরও অনেক নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে।
৮ টি বেহেশতের নাম
১. জান্নাতুল ফিরদাউস: জান্নাতের সর্বোচ্চ বাগান।
২. দারুল মাকাম: চিরস্থায়ী বাসস্থান।
৩. দারুল কারার: আখেরাতের আলয়।
৪. দারুস সালাম: শান্তির নীড়।
৫. জান্নাতুল মাওয়া: বসবাসের জান্নাত।
৬. দারুন নাঈম: নেয়ামত পূর্ণ কানন/বাগান।
৭. দারুল খুলদ: চিরস্থায়ী বাগান।
৮. জান্নাতুল আদন: অনন্ত সুখের বাগান।
উল্লেখ্য: বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতের আরও অনেক নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে।
সাতটি জান্নাতের নাম
১. জান্নাতুল ফিরদাউস: জান্নাতের সর্বোচ্চ বাগান।
২. দারুল মাকাম: চিরস্থায়ী বাসস্থান।
৩. দারুল কারার: আখেরাতের আলয়।
৪. দারুস সালাম: শান্তির নীড়।
৫. জান্নাতুল মাওয়া: বসবাসের জান্নাত।
৬. দারুন নাঈম: নেয়ামত পূর্ণ কানন/বাগান।
৭. জান্নাতুল আদন: অনন্ত সুখের বাগান।
উল্লেখ্য
- বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতের আরও অনেক নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে।
- আটটি জান্নাতের নাম উল্লেখ করলেও, ‘সাতটি জান্নাত’ বলতে সাধারণত এই সাতটি জান্নাতকেই বোঝানো হয়।
- জান্নাতের স্তর সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
- জান্নাতের সুখ-সুবিধা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি।
- জান্নাতে প্রবেশের জন্য আল্লাহর রহমত এবং সৎকর্ম অপরিহার্য।
জান্নাতের হুরদের নাম
জান্নাতের হুরদের কোন নির্দিষ্ট নাম নেই। কোরআন ও হাদিসে তাদের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাদের গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করা হয়নি।
কোরআনে হুরদের বর্ণনা
- সুন্দর ও বর্ণনা-অতীত (সূরা ওয়াক্বিয়াহ, আয়াত: ৩৮)
- স্পর্শ-কন্যা (সূরা আর-রহমান, আয়াত: ৫৬)
- বড় চোখের (সূরা তুর, আয়াত: ২০)
- সমবয়সী (সূরা ওয়াক্বিয়াহ, আয়াত: ৩৭)
- পবিত্র (সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৭২)
- লজ্জাশীলা (সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩১)
- আল্লাহর নিকট সম্মানিত (সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৭২)
হাদিসে হুরদের বর্ণনা
- তাদের দেহের সুগন্ধ কস্তুরীর চেয়েও মনোমুগ্ধকর (সহিহ মুসলিম)
- তাদের চোখের রঙ কাজলের মত কালো (সুনান আত-তিরমিযী)
- তাদের চুল লম্বা ও ঘন (সহিহ বুখারী)
- তাদের ত্বক উজ্জ্বল ও নির্মল (সুনান আবু দাউদ)
উল্লেখ্য, জান্নাতের হুরদের বর্ণনা রূপক হতে পারে। জান্নাতের সুখ-সুবিধা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি।
জান্নাতের পাখির নাম
জান্নাতে কত প্রকার পাখি আছে তার সঠিক সংখ্যা আমাদের জানা নেই। তবে, হাদিসে কিছু পাখির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কয়েকটি জান্নাতি পাখির নাম
- তুবা পাখি: তুবা নামক বিশাল বৃক্ষের ডালে বসবাসকারী পাখি।
- হুদহুদ পাখি: হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর বাহিনীর একজন সৈনিক ছিল।
- কাক: হযরত আদম (আঃ)-কে কবর খননের জ্ঞান দান করেছিল।
- বুলবুলি: জান্নাতে বসবাসকারী সুন্দর কণ্ঠস্বরের পাখি।
- খুদবুল: জান্নাতে বসবাসকারী সুন্দর গান গাওয়া পাখি।
উল্লেখ্য
- জান্নাতের পাখিদের সৌন্দর্য, গান এবং কণ্ঠস্বর আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি।
- জান্নাতের পাখিদের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য রয়েছে যা আমাদের জানা নেই।
জান্নাত নামের তালিকা
কোরআনে উল্লেখিত জান্নাতের নাম
- জান্নাতুল ফিরদাউস (সর্বোচ্চ জান্নাত)
- জান্নাতুল ‘আদন (চিরস্থায়ী জান্নাত)
- জান্নাতুন না’ঈম (সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জান্নাত)
- দারুস সালাম (শান্তির আবাস)
- দারুল মাকাম (চিরস্থায়ী বাসস্থান)
- জান্নাতুল মা’ওয়া (বসবাসের জান্নাত)
- জান্নাতুল খু’লদ (চিরস্থায়ী সুখের জান্নাত)
হাদিসে উল্লেখিত জান্নাতের নাম
- জান্নাতুল ফিরদাউস
- জান্নাতুল ‘আদন
- জান্নাতুন না’ঈম
- দারুস সালাম
- দারুল মাকাম
- জান্নাতুল মা’ওয়া
- জান্নাতুল খু’লদ
- জান্নাতুল ‘উল্যা
- জান্নাতুল বাকী
- জান্নাতুল হাসনা
- জান্নাতুল ফাতহ
অন্যান্য নাম
- জান্নাত
- বেহেশত
- জান্নাতুল মু’আল্লা
- জান্নাতুর রিদওয়ান
- জান্নাতুল আ’রাফ
উল্লেখ্য
- জান্নাতের স্তর সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।
- জান্নাতের সুখ-সুবিধা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি।
- জান্নাতে প্রবেশের জন্য আল্লাহর রহমত এবং সৎকর্ম অপরিহার্য।
সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতের নাম কি
সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতের নাম হলো জান্নাতুল ফিরদাউস। এটি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর এবং আল্লাহর নিকটতম স্থান।
জান্নাতুল ফিরদাউসের বৈশিষ্ট্য
- সর্বোচ্চ সুখ-সুবিধা: জান্নাতুল ফিরদাউসে সকল জান্নাতের চেয়ে বেশি সুখ-সুবিধা রয়েছে।
- আল্লাহর নিকটতম স্থান: এটি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর এবং আল্লাহর নিকটতম স্থান।
- চিরস্থায়ী সুখ: জান্নাতুল ফিরদাউসের সুখ চিরস্থায়ী, কখনো শেষ হবে না।
- হুর ও গিলমান: জান্নাতুল ফিরদাউসে হুর ও গিলমানদের বাস।
- বিশেষ সুযোগ-সুবিধা: জান্নাতুল ফিরদাউসের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রবেশের উপায়
- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস: জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রবেশের জন্য আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস অপরিহার্য।
- সৎকর্ম: জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রবেশের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সৎকর্ম করা জরুরি।
- আল্লাহর রহমত: জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রবেশের জন্য আল্লাহর রহমত অপরিহার্য।
জান্নাতের নাম ও অর্থ
কোরআনে উল্লেখিত জান্নাতের নাম
- জান্নাতুল ফিরদাউস: “ফিরদাউস” শব্দের অর্থ “উদ্যান” বা “বাগান”। জান্নাতুল ফিরদাউস জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর এবং এটি আল্লাহর নিকটতম স্থান।
- জান্নাতুল ‘আদন: “‘আদন” শব্দের অর্থ “স্থায়ী” বা “চিরস্থায়ী”। জান্নাতুল ‘আদন জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে স্থায়ী সুখ-শান্তি রয়েছে।
- জান্নাতুন না’ঈম: “না’ঈম” শব্দের অর্থ “সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য”। জান্নাতুন না’ঈম জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব নেই।
- দারুস সালাম: “দারুস সালাম” শব্দের অর্থ “শান্তির আবাস”। দারুস সালাম জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে চিরস্থায়ী শান্তি রয়েছে।
- দারুল মাকাম: “দারুল মাকাম” শব্দের অর্থ “চিরস্থায়ী বাসস্থান”। দারুল মাকাম জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে চিরস্থায়ী বাসস্থানের সুযোগ রয়েছে।
- জান্নাতুল মা’ওয়া: “মা’ওয়া” শব্দের অর্থ “বসবাস”। জান্নাতুল মা’ওয়া জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে বসবাসের জন্য সুন্দর স্থান রয়েছে।
- জান্নাতুল খু’লদ: “খু’লদ” শব্দের অর্থ “চিরস্থায়ী সুখ”। জান্নাতুল খু’লদ জান্নাতের অন্যতম স্তর এবং এটিতে চিরস্থায়ী সুখের সুযোগ রয়েছে।
হাদিসে উল্লেখিত জান্নাতের নাম
- জান্নাতুল ফিরদাউস
- জান্নাতুল ‘আদন
- জান্নাতুন না’ঈম
- দারুস সালাম
- দারুল মাকাম
- জান্নাতুল মা’ওয়া
- জান্নাতুল খু’লদ
- জান্নাতুল ‘উল্যা
- জান্নাতুল বাকী
- জান্নাতুল হাসনা
- জান্নাতুল ফাতহ
- অন্যান্য নাম:
- জান্নাত
- বেহেশত
- জান্নাতুল মু’আল্লা
- জান্নাতুর রিদওয়ান
- জান্নাতুল আ’রাফ
জান্নাতের দরজার নাম
জান্নাতের দরজার নাম ও সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়।
কিছু হাদিস অনুযায়ী জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে
- বাবুস সালাহ: নামাজীদের দরজা। যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করবে তারা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- বাবুল জিহাদ: জিহাদকারীদের দরজা। যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে তারা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- বাবুর রাইয়ান: রোজাদারদের দরজা। যারা নিয়মিত রোজা রাখবে তারা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- বাবুস সাদাকাহ: দানকারীদের দরজা। যারা দান করবে তারা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- বাবুস সিয়াম: রোজাদারদের দরজা।
- বাবুল ‘আরাফ: যারা আল্লাহর পথে হজ্জ ও ওমরাহ করবে তারা এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- বাবু’ল খায়র: যারা
- বাবু’ল ইহসান: যারা
অন্য হাদিস অনুযায়ী জান্নাতের তিনটি দরজা রয়েছে
- বাবুর রহমত: আল্লাহর রহমতের দরজা।
- বাবুল ‘আদল: ন্যায়বিচারের দরজা।
- বাবুল ফাযল: আল্লাহর অনুগ্রহের দরজা।
উল্লেখ্য
- জান্নাতের দরজার সংখ্যা ও নাম সম্পর্কে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই।
- জান্নাতে প্রবেশের জন্য আল্লাহর রহমত ও সৎকর্ম অপরিহার্য।