বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ২০০ বার সুরা ইখলাস এর ফজিলত
হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়লে ৫০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে, কিছু হাদিস থেকে সুরা ইখলাসের কিছু বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে জানা যায়।
সুরা ইখলাসের ফজিলত
- হাদিসে এসেছে যে, যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস একবার পাঠ করবে, তার জন্য একবার সম্পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াতের সওয়াব লেখা হবে। (তিরমিযি: ২৮৯০)
- আরও একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা ইখলাস পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ সহজ হবে। (ইবনে মাজাহ: ১৩৩৭)
- হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সুমায়া নামক এক দাসীর কাছ থেকে সুরা ইখলাস শুনে খুশি হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “সুমায়া, তুমি কি জানো এই সূরাতে কতগুলো নাম আছে? এই সূরাতে আল্লাহর নব্বই নয়টি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এই সূরা একবার পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ নব্বই নয়টি নামের প্রতিটির জন্য একবার করে সওয়াব লিখবেন।” (আহমাদ: ৬/২৯৪)
- অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি শুয়ে যাওয়ার সময় সুরা ইখলাস তিলাওত করবে, তার জন্য আল্লাহ একজন ফেরেশতাকে প্রহরী হিসেবে নিযুক্ত করবেন। (তিরমিযি: ২৮৯১)
২০০ বার সুরা ইখলাস পড়ার ব্যাপারে সতর্কতা
- কিছু লোক মনে করেন যে প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়লে ৫০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধারণার সমর্থনে কোন সহীহ হাদিস নেই।
- গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং তওবা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- নির্দিষ্ট সংখ্যকবার কোন সূরা পড়লে নির্দিষ্ট পরিমাণ গুনাহ মাফ হবে এমন বিশ্বাস ইসলামের শিক্ষার পরিপন্থী।
সুরা ইখলাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতময় সূরা। নিয়মিত এই সূরা তিলাওত করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং জান্নাতের সওয়াব লাভের আশা করতে পারি। তবে, নির্দিষ্ট সংখ্যকবার কোন সূরা পড়লে নির্দিষ্ট পরিমাণ গুনাহ মাফ হবে এমন বিশ্বাসে অন্ধ বিশ্বাস করা উচিত নয়। বরং, আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং তওবা করা।
২০০ বার সুরা ইখলাস এর ফজিলত,২০০ বার সুরা ইখলাস এর ফজিলত