বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সূরা কাহাফ বাংলা
সূরা কাহাফ পরিচয়
- নামকরণ: সূরার নামকরণ করা হয়েছে “কাহাফ” শব্দ থেকে, যার অর্থ “গুহা”। কারণ এই সূরার মধ্যে গুহাবাসী যুবকদের আলোচনা করা হয়েছে।
- আয়াত সংখ্যা: ১১০
- নাযিল হওয়ার স্থান: মক্কা
- বিষয়বস্তু: ঈমান, শিরক, আখেরাত, নবীদের ঈমান, সম্পদের লোভ, দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি, ইত্যাদি।
সূরার গুরুত্ব
- হাদিসে বর্ণিত
- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।” ([সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ১৭৫৬])
- অন্য এক হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের শেষ দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে।” ([মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস নম্বর: ৫৬৪])
- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়বে পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত সে নূর দ্বারা আলোকিত থাকবে।” ([মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস নম্বর: ৩৬৮])
সূরা কাহাফ অডিও
এই সূরা নিয়মিত পাঠ করলে ঈমান শক্তিশালী হয়, দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, আখেরাতের হিসাব সহজ হয়, ইত্যাদি।
সূরার বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্তসার
- প্রথম অংশ
- ঈমানের গুরুত্ব, শিরকের ভয়াবহতা, আখেরাতের বিচারের বর্ণনা।
- গুহাবাসী যুবকদের ঈমানের ঘটনা।
- মুসা (আঃ) ও খিজির (আঃ)-এর কাহিনী।
- দ্বিতীয় অংশ
- নবীদের ঈমানের দৃঢ়তার উদাহরণ।
- দু’জন ব্যক্তির কাহিনী, একজন ধনী ও অহংকারী, অন্যজন দরিদ্র ও ঈমানদার।
- দাজ্জালের ফেতনার বর্ণনা।
- ঈমান ও সৎকর্মের উপর জোর দেওয়া।
সূরা কাহাফ পাঠের নিয়ম
- নিয়মিতভাবে পাঠ করা: প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত একবার পাঠ করা উচিত।
- প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করা: দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি পেতে।
- শেষ দশ আয়াত মুখস্থ করা: দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি পেতে।
- শুক্রবারে পাঠ করা: নূর দ্বারা আলোকিত থাকার জন্য।