বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সূরা ইখলাস এর ফজিলত
সূরা ইখলাস এর ফজিলত
সূরা ইখলাস, কুরআনের ১১২তম অধ্যায়, মাত্র চারটি আয়াত নিয়ে গঠিত হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
এই সূরার অসাধারণ কিছু ফজিলত
১) কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান
- হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।” ([বুখারী, মুসলিম])
- অর্থাৎ, সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করার সওয়াব কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তেলাওয়াতের সওয়াবের সমান।
২) জান্নাতের দরজা খোলার চাবিকাঠি
- আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ইখলাস দশ বার পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।” ([তিরমিযী])
- অর্থাৎ, নিয়মিত সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করলে জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়।
৩) ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি
- সূরা ইখলাসে আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর গুণাবলীর নির্ভেদ বিশ্বাসের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
- নিয়মিত তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই বিশ্বাস দৃঢ় হয় এবং ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪) শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তি
- সূরা ইখলাস তেলাওয়াত শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
৫) অন্যান্য ফজিলত
- সূরা ইখলাস তেলাওয়াতের আরও অনেক ফজিলত রয়েছে।
- যেমন:
- বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি,
- ঋণ পরিশোধে সহায়তা,
- মনের শান্তি লাভ,
- জ্ঞান বৃদ্ধি ইত্যাদি।
সূরা ইখলাস শেখা ও তেলাওয়াত করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
নিয়মিত তেলাওয়াতের মাধ্যমে আমরা এই সূরার অসাধারণ ফজিলতগুলো অর্জন করতে পারি।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হয়েছে।