বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত
সুরা ইয়াসিন কুরআনের হৃদয়
সূরা ইয়াসিন, যা কুরআনের ৩৬তম সুরা, কুরআনের হৃদয় নামে পরিচিত। এটিতে ৮৩টি আয়াত, ৫টি রুকু এবং ৭টি মুবিন রয়েছে। হাদিসে সুরা ইয়াসিনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে
• পুরস্কার
- যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে, সে মহান আল্লাহ তাকে দশবার পুরো কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন। (তিরমিজি)
- যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার জন্য রয়েছে মাগফিরাত বা ক্ষমা।
• পারিবারিক কল্যাণ
- যে ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার পরিবারের উপর আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হবে।
- যে ঘরে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা হয়, সেই ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।
• মৃত্যুর সময়
- যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, তার মৃত্যু সহজ হবে এবং সে জান্নাতে যাবে।
- যে ব্যক্তির মৃত্যুর সময় তার পাশে কেউ সুরা ইয়াসিন পাঠ করে, তবে বেহেশত থেকে রেদওয়ান ফেরেশতা জান্নাতের সুসংবাদ না দেয়া পর্যন্ত রূহ কবজকারী ফেরেশতা (মালাকুল মাউত) ওই ব্যক্তির রূহ কবজ করেন না। রূহ কবজের সাথে সাথে ওই ব্যক্তি অবস্থান হয় রাইয়্যান নামক জান্নাতে।
• অন্যান্য
- যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
- যে ব্যক্তি বিপদে পড়লে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
- যে ব্যক্তি ঋণে জর্জরিত অবস্থায় সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন।
- যে ব্যক্তি হারিয়ে গেলে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের নিয়ম
- অজু করে পবিত্র হয়ে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করা উচিত।
- কিবলামুখী হয়ে বসে তেলাওয়াত করা উচিত।
- তাফসীর বুঝে তেলাওয়াত করা উচিত।
- খুশু ও হুশিয়ারি সহকারে তেলাওয়াত করা উচিত।
- তেলাওয়াত শেষে দোয়া করা উচিত।
সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। নিয়মিত সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা যায়। মৃ’ত্যু’র সময় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই সকল মুসলমানের উচিত নিয়মিত সুরা ইয়াসিন তেলাও
সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত,সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত