বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সুবাহান আল্লাহ অর্থ কি
Table of Contents
সুবাহান আল্লাহ অর্থ কি
সুবহানাল্লাহ হল একটি আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হল “আল্লাহ মহান”। এটি একটি তাসবিহ বা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করার একটি বাক্যাংশ।
সুবহানাল্লাহর মূল শব্দ সুবহান। সুবহান শব্দের অর্থ হল “মহিমান্বিত করা”। সুতরাং, সুবহানাল্লাহর অর্থ হল “আমি আল্লাহকে মহিমামণ্ডিত করি”।
সুবহানাল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী বাক্যাংশ। এটি একজন মুসলিম ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত একটি সাধারণ বাক্যাংশ। এটি সাধারণত কোনও ভালো কাজ বা ঘটনা দেখে, কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পেলে, বা কোনও অপ্রত্যাশিত সুখবর শুনে বলা হয়।
সুবহানাল্লাহ বলার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার সুবহানাল্লাহ বলে, তার ১০০০ গুণ পাপ মাফ হয়ে যায়।
সুবহানাল্লাহ বলার কিছু উপকারিতা হল
- এটি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা স্মরণ করিয়ে দেয়।
- এটি আমাদের অহংকার ও অহমিকা দূর করে।
- এটি আমাদের মনে প্রশান্তি ও শান্তি নিয়ে আসে।
- এটি আমাদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়
সুবহানাল্লাহ বলার অনেক সময় আছে। সাধারণত, যেকোনো ভালো কাজ বা ঘটনা দেখে, কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পেলে, বা কোনও অপ্রত্যাশিত সুখবর শুনে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
সুনির্দিষ্টভাবে, সুবহানাল্লাহ বলার কিছু সময় হল
- আল্লাহর সৃষ্টির কোনো ভালো ও আশ্চর্যজনক বিষয় দেখে। যেমন, সুর্যোদয় বা সূর্যাস্ত, আকাশের তারা, পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, প্রকৃতির সৌন্দর্য, ইত্যাদি দেখে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
- কোনো ভালো কাজ বা কর্ম দেখে। যেমন, কারো দান-খয়রাত, সদকা, ভালো কাজ, ইত্যাদি দেখে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
- কোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেলে। যেমন, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া, অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
- কোনো অপ্রত্যাশিত সুখবর শুনে। যেমন, সন্তান জন্মানো, চাকরি পাওয়া, বিয়ে হওয়া, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
এছাড়াও, সুবহানাল্লাহ বলার কিছু নির্দিষ্ট সময়ও রয়েছে
- সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহ বলার ফজিলত রয়েছে।
- নামাজের শুরুতে, মাঝখানে এবং শেষে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
- কুরআন পাঠের আগে এবং পরে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুবহানাল্লাহ বলা হয়।
সুতরাং, আমরা সকলেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুবহানাল্লাহ বলার অভ্যাস গড়ে তুলি।