বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
Table of Contents
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
শবে বরাতের তাৎপর্য:
- মধ্য শাবানের রাত্রি: শবে বরাত শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পালিত হয়।
- অনুগ্রহ ও ক্ষমার রাত্রি: এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর অশেষ রহমত ও ক্ষমার বর্ষণ করেন।
- দোয়া কবুলের রাত্রি: এ রাতে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
শবে বরাত সম্পর্কে কিছু সহীহ হাদিস
- হজরত আবু মুসা আল-আশআ’রী (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা মধ্য শা’বানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেন ও মুশরিক (আল্লাহর সাথে শিরককারী) এবং মুশাহিন (হিংসুক) ব্যতীতসকলকে ক্ষমা করে দেন।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৩৯০)
- হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মধ্য শা’বানের রাতে রাত জেগে ইবাদত করে এবং দিনের বেলায় রোজা রাখে, তার জন্য পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ২৫২৬৯)
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “মধ্য শা’বানের রাত যখন আসে তখন তোমরা রাত জেগে ইবাদত করো এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কারণ এ রাতে আল্লাহ তায়ালা ‘আরশ’-এর উপরে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে যে আমার কাছে দোয়া করবে, আমি তার দোয়া কবুল করবো? কে আছে যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো? কে আছে যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো?'” (সুনানে আন-নাসাঈ, হাদিস নং: ১১৪৭)
শবে বরাতের রাতে করণীয়
- রাত জেগে ইবাদত করা: নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, জিকির ইত্যাদি।
- রোজা রাখা: পরবর্তী দিনের রোজা রাখা।
- দোয়া করা: ব্যক্তিগত ও সামাজিক কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
- ক্ষমা চাওয়া: আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
- দান-সদকা করা: গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা।
শবে বরাত কবে 2024
২০২৪ সালে শবে বরাত পালিত হবে 25 ফেব্রুয়ারি, রবিবার রাতে।
বাংলাদেশ সরকার 26 ফেব্রুয়ারি, সোমবার শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
বিঃদ্রঃ:
- চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে।
- সর্বশেষ নির্দেশিকা জানার জন্য আপনার স্থানীয় ইসলামী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
শবে বরাতের রাতে কিছু করণীয়
- রাত জেগে ইবাদত করা: নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, জিকির ইত্যাদি।
- রোজা রাখা: পরবর্তী দিনের রোজা রাখা।
- দোয়া করা: ব্যক্তিগত ও সামাজিক কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
- ক্ষমা চাওয়া: আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
- দান-সদকা করা: গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা।
শবে বরাত সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
- এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করা ফরজ: এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে কবর জিয়ারত করা ফরজ: এ রাতে কবর জিয়ারত করার ব্যাপারেও কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে ভাগ্য লেখা হয়: ভাগ্য লেখার ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট রাতের উল্লেখ নেই।
ইসলামের দৃষ্টিতে শবে বরাত
শবে বরাত, মধ্য শাবান বা লাইলাতুল বরাত হিসেবে পরিচিত এই রাতটি হিজরী শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, এ রাতে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং তাদের ভাগ্যলিপি লেখেন।
শবে বরাতের ফজিলত
- ক্ষমা ও রহমতের রাত: এই রাতে আল্লাহ তা’আলা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
- ভাগ্যলিপি লেখার রাত: এই রাতে পরবর্তী এক বছরের জন্য বান্দাদের ভাগ্যলিপি লেখা হয়।
- দোয়া কবুলের রাত: এই রাতে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়নের রাত: এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকিরের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।
শবে বরাত সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
- এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করা ফরজ: এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে কবর জিয়ারত করা ফরজ: এ রাতে কবর জিয়ারত করার ব্যাপারেও কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়: ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট রাতের উল্লেখ নেই। বরং, মানুষের কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য পরিবর্তিত হতে পারে।
মনে রাখতে হবে
- শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ রাত।
- এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের চেষ্টা করা উচিত।
- শুধুমাত্র এই রাতে নয়, বরং সারাবছরই আল্লাহর ইবাদত করা উচিত।
শবে বরাতের ইতিহাস
- শবে বরাতের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট কোন হাদিস নেই।
- কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন, এটি প্রাক-ইসলামী যুগ থেকে চলে আসা রীতিনীতি।
- ইসলামের প্রথম দিকে এ রাত পালনের কোন স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না।
প্রচলন:
- কিছু তথ্য অনুসারে, হযরত আলী (রা.) এর সময় থেকে শবে বরাত পালন শুরু হয়।
- তবে, তা ব্যাপকভাবে পালিত হতে শুরু করে হযরত উমর (রা.) এর সময় থেকে।
- ধীরে ধীরে এটি মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
বিতর্ক:
- শবে বরাতের রাত পালন করা উচিত কিনা, এ ব্যাপারে মুসলিমদের মধ্যে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে।
- কিছু আলেম মনে করেন, এটি পালন করা সুন্নত।
- অন্যদিকে, কিছু আলেম মনে করেন, এটি বিদআত (নব উদ্ভাবিত) এবং পালন করা উচিত নয়।
বর্তমানে:
- শবে বরাত মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশেই পালিত হয়।
- তবে, পালনের রীতিনীতি স্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য:
- শবে বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের চেষ্টা করা উচিত।
- bid’ah (নব উদ্ভাবিত) কর্মকাণ্ড থেকে সাবধান থাকা উচিত।
- শুধুমাত্র এই রাতে নয়, বরং সারাবছরই আল্লাহর ইবাদত করা উচিত।
শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চাই
শবে বরাত হিজরী শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, এ রাতে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং তাদের ভাগ্যলিপি লেখেন।
শবে বরাতের ফজিলত
- ক্ষমা ও রহমতের রাত: এই রাতে আল্লাহ তা’আলা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
- ভাগ্যলিপি লেখার রাত: এই রাতে পরবর্তী এক বছরের জন্য বান্দাদের ভাগ্যলিপি লেখা হয়।
- দোয়া কবুলের রাত: এই রাতে আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়নের রাত: এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকিরের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।
শবে বরাতের রাতে করণীয়
- রাত জেগে ইবাদত করা: নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া, জিকির ইত্যাদি।
- রোজা রাখা: পরবর্তী দিনের রোজা রাখা।
- দোয়া করা: ব্যক্তিগত ও সামাজিক কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
- ক্ষমা চাওয়া: আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া।
- দান-সদকা করা: গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা।
শবে বরাত সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
- এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করা ফরজ: এ রাতে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে কবর জিয়ারত করা ফরজ: এ রাতে কবর জিয়ারত করার ব্যাপারেও কোন সহীহ হাদিস নেই।
- এ রাতে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়: ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট রাতের উল্লেখ নেই। বরং, মানুষের কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য পরিবর্তিত হতে পারে।
মনে রাখতে হবে
- শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ রাত।
- এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের চেষ্টা করা উচিত।
- শুধুমাত্র এই রাতে নয়, বরং সারাবছরই আল্লাহর ইবাদত করা উচিত।