বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে যাকাত না দেওয়ার শাস্তি
ইসলামে যাকাত না দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাকাত ফরজ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি মুসলিমদের সম্পদের উপর আল্লাহর অধিকার। যাকাত না দেওয়া গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয় এবং এর জন্য পরকালে শাস্তি হবে।
কুরআনে যাকাত না দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে
- সূরা আল-বাকারা (২:৮৩): “আর যারা জাকাত দান করে না, তবে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শত্রু।”
- সূরা আল-মুমতাহিনাহ (৯:৬০): “নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি হলো হত্যা, অথবা ক্রুশদণ্ড, অথবা তাদের হাত-পা উভয়ই কেটে ফেলা, অথবা তাদের দেশান্তর। এদের জন্য রয়েছে আল্লাহর কাছ থেকে বড় শাস্তি।”
হাদিসে যাকাত না দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বলা হয়েছে
- বুখারী: “যে ব্যক্তি যাকাত দান করবে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
- মুসলিম: “যে ব্যক্তি যাকাত দান করবে না, তার সম্পদ আল্লাহ তার উপর অভিশাপ বর্ষাবে।”
যাকাত না দেওয়ার কিছু specific শাস্তির মধ্যে রয়েছে
- জাহান্নামের আগুন: যাকাত না দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ শাস্তি হলো জাহান্নামের আগুন।
- সম্পদের ক্ষতি: যাকাত না দেওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির সম্পদ হারিয়ে যেতে পারে।
- অভিশাপ: যাকাত না দেওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষা করতে পারে।
- ইহকালীন শাস্তি: কিছু মুসলিম বিশ্বাস করেন যে যাকাত না দেওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে ইহকালেও শাস্তি দেওয়া হতে পারে, যেমন অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্যান্য বিপদ।
তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। যদি একজন ব্যক্তি অনুশোচনা করে এবং তার ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করতে পারেন।
এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে যাকাত সঠিকভাবে দিতে সাহায্য করবে
- নিশ্চিত করুন যে আপনার নিকট ন্যূনতম পরিমাণ সম্পদ রয়েছে যার উপর যাকাত ফরজ।
- আপনার সম্পদের সঠিক হিসাব করুন।
- যাকাতের হার সম্পর্কে জানুন।
- যাকাত দান করার জন্য একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে নির্বাচন করুন।
- যাকাত দান করার সময় সৎ ও ইচ্ছুক মনোভাব রাখুন।