বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে
যাকাতের ফরজ কয়টি ও কি কি
ইসলামে যাকাতের ফরজ ৮ টি
১. নিসাব পূর্ণ হওয়া: একজন মুসলিমের কাছে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর জাকাত ফরজ হয়। এই নির্দিষ্ট পরিমাণকে “নিসাব” বলা হয়। নিসাবের পরিমাণ বিভিন্ন ধরণের সম্পদের জন্য আলাদা আলাদা।
২. মালিকানা: জাকাতযোগ্য সম্পদের মালিকানা একজন মুসলিমের হতে হবে।
৩. হিজরি বছর পূর্ণ হওয়া: একজন মুসলিমের কাছে যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক হিজরি বছর ধরে থাকে, তাহলে তার উপর জাকাত ফরজ হয়।
৪. মুসলিম হওয়া: জাকাত শুধুমাত্র মুসলিমদের উপরই ফরজ।
৫. বুদ্ধিমান ও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: একজন মুসলিম যদি বুদ্ধিমান ও প্রাপ্তবয়স্ক না হন, তাহলে তার উপর জাকাত ফরজ নয়।
৬. ঋণমুক্ত হওয়া: একজন মুসলিমের যদি ঋণ থাকে, তাহলে ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পদের উপর জাকাত ফরজ হবে।
৭. স্থায়ীভাবে অবস্থান করা: একজন মুসলিম যদি কোন স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস না করেন, তাহলে সেই স্থানে অর্জিত সম্পদের উপর তার জাকাত ফরজ হবে না।
৮. ইসলামে বিশ্বাস: একজন মুসলিম যদি ইসলামে বিশ্বাস না করেন, তাহলে তার উপর জাকাত ফরজ হবে না।
যাকাতের আটটি খাত
- গরিব ও অভাবী: যারা নিজেদের ও পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম নয়।
- মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ: ইসলামের প্রচার ও শিক্ষার জন্য মসজিদের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ।
- ঋণগ্রস্ত: যারা ঋণে জর্জরিত এবং ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম।
- যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী: যারা ইসলামের প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
- ইসলাম গ্রহণকারী: যারা নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
- পথভ্রষ্ট: যারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং পুনরায় সঠিক পথে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
- দাস ও দাসী: যারা অন্যের দাসত্বে রয়েছে।
- মুসলিমদের পথপ্রদর্শক: যারা মুসলিমদের ইসলামের শিক্ষা দান করে।
- জাকাত হলো একটি আর্থিক ইবাদত।
- জাকাত প্রদানের মাধ্যমে ধনীরা সমাজের দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করে।
- জাকাত প্রদানের মাধ্যমে ধনীদের সম্পদ পরিশুদ্ধ হয় এবং বরকত বৃদ্ধি পায়।
যাকাতের ফরজ কয়টি ও কি কি,যাকাতের ফরজ কয়টি ও কি কি