বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি
কুরআনে সরাসরি মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি নির্ধারণ করে এমন কোন আয়াত নেই। তবে, নামাজের গুরুত্ব, এর ফজিলত এবং ত্যাগকারীদের পরিণতি সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে।
কিছু উল্লেখযোগ্য আয়াত
- সূরা আল-বাকারা (২): ৪৩-৪৫: এই আয়াতে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনেনি এবং আমার আয়াতগুলিকে অস্বীকার করে, তারা জাহান্নামে যাবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। তাদের জন্য কঠিন আযাব নির্ধারিত আছে।”
- সূরা আল-নিসা (৪): ১৪২: এখানে আল্লাহ বলেন, “যারা আমার সাথে নিজেদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং আমার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তারা আমার লা’নতভাজন হবে এবং আমি তাদেরকে শাপিত করব। এবং আমি তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর জালিমদের জন্য কতই না অবশ্যই খারাপ গন্তব্য!”
- সূরা আল-মু’মিন (৪০): ৬০: এই আয়াতে বলা হয়েছে, “তবে যারা আমার স্মরণ থেকে বিমুখ থাকে এবং আমার সালাতে উপেক্ষা করে, তাদের জন্য জাহান্নামের আবাসস্থল নির্ধারিত আছে।”
- সূরা আল-গাফির (৪১): ৩: আল্লাহ বলেন, “এবং যারা আমার স্মরণ থেকে বিমুখ থাকে এবং আমার সালাতে উপেক্ষা করে, তাদের জন্য জাহান্নামের আবাসস্থল নির্ধারিত আছে।”
উল্লেখ্য যে, এই আয়াতগুলো নামাজ ত্যাগের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে, তবে স্পষ্ট শাস্তির পরিমাণ বর্ণনা করে না। হাদিসে নামাজ ত্যাগের বিভিন্ন শাস্তির বর্ণনা পাওয়া যায়।
মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে হাদিসে কিছু বর্ণনা
- সহিহ মুসলিম: হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করে, সে আল্লাহ ও তার রাসূলের সাথে বিদ্রোহ করে।”
- সুনানে আবু দাউদ: হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করে, সে কুফর করে।”
- ইবনে মাজাহ: হজরত আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করে, সে জাহান্নামের জ্বালানিতে নিক্ষেপিত হবে।”
তবে মনে রাখা জরুরি যে
- আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল।
- একজন মুমিন যদি ভুল করে নামাজ ত্যাগ করে, কিন্তু পরে অনুশোচনা করে এবং নিয়মিত নামাজ আদ