বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
Table of Contents
ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
১. যারা নিঃস্ব, অভাবী এবং অসহায়: যাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ নেই তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে।
২. যারা ঋণগ্রস্ত: যাদের ঋণের ভার অনেক বেশি এবং ঋণ শোধ করতে তাদের অসুবিধা হচ্ছে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে।
৩. যারা আল্লাহর পথে কাজ করে: যারা দ্বীনের প্রচার প্রসার বা জ্ঞান দান ইত্যাদি কাজে নিযুক্ত আছেন তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে।
৪. যারা মুসাফির: যারা ঈদের দিন নিজ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে।
৫. যারা জাকাত গ্রহণের যোগ্য: যারা জাকাত গ্রহণের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে।
তবে কিছু ব্যক্তিকে ফিতরা দেওয়া যাবে না
১. যারা নিজেদের এবং তাদের আশ্রিতদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে: যারা নিজের এবং তাদের পরিবারের খরচ চালাতে পারে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
২. ধনী ব্যক্তি: যাদের পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ আছে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
৩. যারা জাকাত দান করে: যারা জাকাত দান করে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
৪. যারা মদ্যপান করে: যারা নিয়মিত মদ্যপান করে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
৫. যারা জেনা করে: যারা জেনা করে তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
ফিতরা কত টাকা
আপনি তালিকা অনুসারে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো একটি খাদ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন। অথবা আপনি ঐ খাদ্য দ্রব্যের বাজার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন।
আপনি যদি আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে চান তাহলে আপনাকে 1 কেজি 650 গ্রাম আটা বা 115 টাকা দিতে হবে।
ফিতরা আদায়ের সর্বোচ্চ সময় হলো ঈদের দিনের ঈদগাহে যাওয়ার আগে। তবে আপনি ঈদের এক দু দিন আগেও ফিতরা আদায় করতে পারেন।
আরও জানতে আপনি আপনার স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা আলেমদের সাথে কথা বলতে পারেন।
এক রিতল সমান কত
এক রিতল সমান ১.৭৫ কেজি।
তবে, রিতল একটা পুরোনো ওজনের একক এবং এটি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিমাণের জন্য ব্যবহার করা হত।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত রিতল ১.৭৫ কেজি।
ভারতে, রিতল ১.২ কেজি।
পাকিস্তানে, রিতল ১.৬ কেজি।
সুতরাং, কোন স্থানের রিতল সম্পর্কে জানতে চান সেটা স্পষ্ট করে জানালে আরও ভালো করে সাহায্য করতে পারবো।
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
ফিতরা প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমানের উপর ওয়াজিব যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে। নিসাব হলো সে পরিমাণ সম্পদ যার উপর জাকাত ওয়াজিব হয়।
ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ হতে হয়:
- মুসলিম হওয়া: শুধুমাত্র মুসলমানদের উপর ই ফিতরা ওয়াজিব।
- স্বাধীন হওয়া: দাস বা দাসীর উপর ফিতরা ওয়াজিব নেই।
- নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা: যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই তার উপর ফিতরা ওয়াজিব নেই।
- ঈদের দিন সকালে জীবিত থাকা: যে ব্যক্তি ঈদের দিন সকালে জীবিত থাকবে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব হবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদ কত তা প্রতি বছর সরকার নির্ধারণ করে। ২০২3 সালে বাংলাদেশে নিসাব পরিমাণ সোনার ক্ষেত্রে 20 ভা এবং রুপার ক্ষেত্রে 52 tola।
ফিতরা আদায়ের সর্বোচ্চ সময় হলো ঈদের দিনের ঈদগাহে যাওয়ার আগে। তবে আপনি ঈদের এক দু দিন আগেও ফিতরা আদায় করতে পারেন।
ফিতরা দেওয়ার জন্য আপনি নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোনো একজনকে দিতে পারেন:
- দরিদ্র এবং অভাবী ব্যক্তি
- ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
- আল্লাহর পথে কাজ করে এমন ব্যক্তি
- মুসাফির
- যারা জাকাত গ্রহণের যোগ্য
ফিতরা অর্থ কি
ফিতরা আরবী শব্দ যার অর্থ হলো “মুক্তি” বা “পরিশোধ”। ইসলামী শরী’আতে ফিতরা হলো রমজান মাস শেষে ঈদের দিন প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমানের উপর ওয়াজিব এক নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য বা তার মূল্য দান করা।
ফিতরা দান করার উদ্দেশ্য হলো রমজান মাসে রোজা পালনের সময় যদি কারো কাছ থেকে কোন ভুল বা ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সেগুলোর কাফফারা স্বরূপ এই দান করা। এছাড়াও ফিতরা দান করার মাধ্যমে গরিব ও অভাবী মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয় যা তাদের ঈদের দিন আনন্দ উদযাপন করতে সাহায্য করে।
ফিতরা কত টাকা বা খাদ্য দেওয়া হবে তা প্রতি বছর সরকার নির্ধারণ করে
আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপরের তালিকা থেকে যেকোনো একটি খাদ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন। অথবা আপনি ঐ খাদ্য দ্রব্যের বাজার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন।
ফিতরা আদায়ের সর্বোচ্চ সময় হলো ঈদের দিনের
সদকাতুল ফিতর কাকে বলে
সদকাতুল ফিতর আরবী শব্দ যার অর্থ হলো “ফিতরার সদকা”। ইসলামে সদকাতুল ফিতর হলো রমজান মাস শেষে ঈদের দিন প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমানের উপর ওয়াজিব এক নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য বা তার মূল্য দান করা।
সদকাতুল ফিতর দান করার উদ্দেশ্য হলো:
- রমজান মাসে রোজা পালনের সময় যদি কারো কাছ থেকে কোন ভুল বা ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সেগুলোর কাফফারা স্বরূপ এই দান করা।
- গরিব ও অভাবী মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা যা তাদের ঈদের দিন আনন্দ উদযাপন করতে সাহায্য করে।
আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপরের তালিকা থেকে যেকোনো একটি খাদ্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারেন। অথবা আপনি ঐ খাদ্য দ্রব্যের বাজার মূল্য দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারেন।
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব মাসিক আল কাউসার
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
ফিতরা প্রত্যেক স্বাধীন মুসলিমের উপর ওয়াজিব যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে।
নিসাব হলো সে পরিমাণ সম্পদ যার উপর জাকাত ওয়াজিব হয়।
ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ হতে হয়:
- মুসলিম হওয়া: শুধুমাত্র মুসলিমদের উপরই ফিতরা ওয়াজিব।
- স্বাধীন হওয়া: দাস বা দাসীর উপর ফিতরা ওয়াজিব নেই।
- নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা: যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই তার উপর ফিতরা ওয়াজিব নেই।
- ঈদের দিন সকালে জীবিত থাকা: যে ব্যক্তি ঈদের দিন সকালে জীবিত থাকবে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব হবে।
নিসাব পরিমাণ সম্পদ কত তা প্রতি বছর সরকার নির্ধারণ করে। ২০২3 সালে বাংলাদেশে নিসাব পরিমাণ সোনার ক্ষেত্রে 20 ভা এবং রুপার ক্ষেত্রে 52 tola।
ফিতরা আদায়ের সর্বোচ্চ সময় হলো ঈদের দিনের ঈদগাহে যাওয়ার আগে। তবে আপনি ঈদের এক দু দিন আগেও ফিতরা আদায় করতে পারেন।
ফিতরা দেওয়ার জন্য আপনি নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোনো একজনকে দিতে পারেন:
- দরিদ্র এবং অভাবী ব্যক্তি
- ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি
- আল্লাহর পথে কাজ করে এমন ব্যক্তি
- মুসাফির
- যারা জাকাত গ্রহণের যোগ্য
ফিতরা দেওয়ার সময় আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:
- ফিতরা নিজের পরিবারের জন্য প্রথমে দিতে হবে।
- ফিতরা যে ব্যক্তিকে দেওয়া হবে সে যেন মুসলিম হয়।
- ফিতরা দেওয়া ব্যক্তির কাছে নিজের পরিবারের জন্য ফিতরা দেওয়ার মতো সম্পদ না থাকে।
ফিতরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আমাদের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণ করে এবং গরিব ও অভাবী মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করে। তাই আমাদের সকলের উচিত নিজেদের উপর ওয়াজিব হলে ফিতরা আদায় করা।