বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম
নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম শেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে নামাজ হলো একজন মুসলমানের সর্বোচ্চ ইবাদত। নিয়মিত ও সঠিকভাবে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
নামাজের পূর্ববর্তী শর্তাবলী
- নিয়্যত: নামাজ আদায়ের পূর্বে নিয়্যত করে নিতে হবে। নিয়্যত হলো মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা যে, আমি আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য নামাজ আদায় করছি।
- পবিত্রতা: নামাজের পূর্বে অবশ্যই (অযু) করতে হবে। অযু হলো মুখ, হাত, পা, এবং মাথা মোছা।
- পোশাক: নামাজের জন্য পবিত্র ও সতর্কতার সাথে পোশাক পরিধান করতে হবে। পুরুষদের জন্য সতুর (আবৃত) পোশাক এবং মহিলাদের জন্য পুরো শরীর ঢেকে রাখা পোশাক পরিধান করা উচিত।
- স্থান: নামাজ পবিত্র ও শান্ত স্থানে আদায় করা উচিত।
- ফরজ: প্রতিটি নামাজের নির্দিষ্ট রাকাত ফরজ আছে। যেমন, ফজরের নামাজে দুই রাকাত, যোহরের নামাজে চার রাকাত, আসরের নামাজে চার রাকাত, মাগরিবের নামাজে তিন রাকাত, এবং এশার নামাজে চার রাকাত ফরজ।
- সুন্নত: ফরজ নামাজের সাথে সাথে সুন্নত নামাজও আদায় করা উচিত। সুন্নত নামাজ দুই প্রকার: মুয়াক্কদাহ ও নফল। মুয়াক্কদাহ সুন্নত নামাজ ফরজের সাথে আটকানো থাকে। নফল নামাজ যেকোনো সময় আদায় করা যায়।
নামাজের আরকান
নামাজের ১২টি আবশ্যকীয় পদক্ষেপ রয়েছে, যা নামাজের সঠিকতা নির্ধারণ করে। এই ১২টি পদক্ষেপ হলো:
- নিয়্যত: নামাজের পূর্বে মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
- তকবীরে তাহরিমা: “আল্লাহু আকবার” বলে নামাজ শুরু করা।
- কিয়াম: দাঁড়িয়ে থাকা।
- রুকু’: কোমর থেকে নতি করে পিঠ সোজা করে রাখা।
- সিজদা: মাথাসহ সারা শরীর মাটিতে লাগানো।
- কায়েদা: রুকু’ ও সিজদার সময় নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করা।
- তাসাশুদ: রুকু’ ও সিজদার পর দাঁড়িয়ে দু’বার “আত্তাহিয়্যাতু” পড়া।
- কা’দা: বসে দু’বার “সালাম” পড়া।
- তরতীব: নামাজের সকল পদক্ষেপ যথাক্রমে ও সঠিকভাবে সম্পাদন করা।
- খুশু’: মনোযোগ সহকারে ও ভয়-ভীতির সাথে নামাজ আদায় করা।
- হিজাব: পুরুষদের জন্য নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর