বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে নামাজ পড়ার নিয়ম
নামাজ পড়ার নিয়ম
নামাজের পূর্ব শর্ত
- নিয়্যত: নামাজ আদায়ের পূর্বে নিয়্যত করে নিতে হবে। নিয়্যত হলো মনে মনে দৃঢ় প্রত্যয় করা যে, আমি আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য নামাজ আদায় করছি।
- وضوء (ওযু): নামাজের পূর্বে অবশ্যই ওযু করে পবিত্র হতে হবে।
- পোশাক: নামাজের জন্য পবিত্র ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
- স্থান: নামাজের জন্য পবিত্র স্থান নির্বাচন করতে হবে।
- রাকাত: প্রতিটি নামাজের নির্দিষ্ট রাকাত আছে। যেমন, ফজরের নামাজে ৫ রাকাত, জোহরের নামাজে ১০ রাকাত, আসরের নামাজে ৪ রাকাত, মাগরিবের নামাজে ৫ রাকাত এবং এশার নামাজে ৯ রাকাত।
- কিরাআত: প্রতিটি রাকাতে ফাতিহা সূরা এবং অন্য কোন সূরা বা আয়াত তিলাওত করতে হবে।
- রুকু: রুকু হলো কোমর থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে এমন অবস্থা।
- সিজদা: সিজদা হলো কপাল, হাতের তালু, হাঁটু, পা’র আঙ্গুল এবং পেটের নিচের অংশ মাটিতে রেখে এমন অবস্থা।
- কা’দা: কা’দা হলো বসার অবস্থা।
- তশাহুদ: তশাহুদ হলো নামাজের শেষে বসে দোয়া পড়া।
- সালাম: সালাম হলো নামাজ শেষে দু’পাশে সালাম ফেরানো।
নামাজের সুন্নত
- আযান: নামাজের ওয়াক্ত হলে আযান দিতে হবে।
- ইকামত: নামাজ শুরু করার আগে ইকামত দিতে হবে।
- কিরআতের পূর্বে ‘আ’উযু বিল্লাহি’ ও ‘বাসমালা’ পড়া।
- রুকু ও সিজদায় ‘তকবীর’ বলা।
- কা’দায় ‘আত্তাহিয়াতু’ ও ‘সালাম’ পড়া।
- দোয়া: নামাজের শেষে দোয়া করা।
নামাজের মাকরুহ
- নামাজে কথা বলা।
- নামাজে হাসি।
- নামাজে দিক পরিবর্তন করা।
- নামাজে খাবার বা পানীয় খাওয়া।
বিঃদ্রঃ: এটি নামাজ পড়ার সংক্ষিপ্ত নিয়ম। বিস্তারিত জানার জন্য আপনি নামাজের শিক্ষা বিষয়ক বই পড়তে পারেন অথবা কোন عالم-এর কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।