বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে নামাজ না পড়ার শাস্তি কোরআন
কোরআনে সরাসরি নামাজ না পড়ার শাস্তির বিষয়ে কোন আয়াত নেই। তবে, নামাজের গুরুত্ব, এর ফজিলত এবং ত্যাগের পরিণতি সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত
- সূরা আল-বাক্বারাঃ “নিশ্চয়ই মুমিনদের উপর নামাজ ফরজ করা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে।” (২:২৩৮)
- সূরা আন-নিসাঃ “এবং তোমরা নামাজ কায়ম রাখো।” (৪:১০৩)
- সূরা আল-ইমরানঃ “তারা কি ঈমান আনবে না এবং নামাজ কায়ম করবে না?” (৩:১১৭)
- সূরা আল-মু’মিনুনঃ “নিশ্চয়ই সফলকামীরা তারা, যারা নামাজে নিয়মিত।” (২৩:৯-১০)
নামাজ ত্যাগের পরিণতি সম্পর্কে হাদিস
- হাদিস শরিফ: “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করে, সে আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।” (সহীহ বুখারী)
- হাদিস শরিফ: “কবরের ভয়াবহতা থেকে কেবল নামাজই রক্ষা করতে পারে।” (তিরমিযী)
- হাদিস শরিফ: “জাহান্নামের সবচেয়ে হালকা শাস্তি হলো যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে না তাদের জন্য।” (মুসলিম)
উল্লেখ্য
- নামাজ ত্যাগ করা একটি বড় গুনাহ।
- আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, তিনি চাইলে যেকোন গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন।
- তবে, নিয়মিত নামাজ আদায় করা ঈমানের আলামত এবং একজন মুসলমানের ঈমানের অটুট প্রমাণ।
নামাজ না পড়ার শাস্তি কোরআন