বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে নামাজ না পড়ার শাস্তি কত বছর
নামাজ না পড়ার শাস্তি কত বছর, এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি বলা সম্ভব নয়। কারণ, নামাজ ত্যাগ করার শাস্তি পরকালে নির্ধারণ করবেন আল্লাহ্।
তবে, হাদিসে নামাজ ত্যাগকারীদের বিভিন্ন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন
দুনিয়াতে
- আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত: নামাজীদের উপর আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হয়। নামাজ ত্যাগকারীরা এই রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।
- মানসিক অশান্তি: নামাজ মনের প্রশান্তির উৎস। নামাজ না পড়লে মানসিক অশান্তি, হতাশা, ও বিষণ্ণতা দেখা দেয়।
- আল্লাহর অভিশাপ: হাদিসে বর্ণিত আছে, নামাজ ত্যাগকারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসে।
- সামাজিক বর্জন: নামাজীদের সমাজে সম্মান করা হয়। নামাজ ত্যাগকারীদের সমাজে অপমানিত হতে হয়।
- দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি: নামাজ ত্যাগকারীদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি পায়।
পরকালে
- জাহান্নামের শাস্তি: হাদিসে বর্ণিত আছে, নামাজ ত্যাগকারীদের জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
- আল্লাহর মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত: নামাজীরা জান্নাতে আল্লাহর মুখ দেখার সৌভাগ্য লাভ করবে। নামাজ ত্যাগকারীরা এই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হবে।
- জান্নাতের নূর থেকে বঞ্চিত।
উল্লেখ্য, নামাজ ত্যাগের শাস্তির তীব্রতা ব্যক্তির অপরাধের তীব্রতার উপর নির্ভর করবে।
মুসলিমদের উচিত নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করে নিয়মিত ও যথাযথভাবে নামাজ আদায় করা।