বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে রোজা নফল রোজার নিয়ত
Table of Contents
নফল রোজার নিয়ত
নফল রোজার নিয়ত করার জন্য নির্দিষ্ট কোন আরবি বাক্য নেই। তবে কিছু বাক্য প্রচলিত আছে যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলা নিয়ত | “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আগামীকাল নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম।” |
আরবি نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم বাংলা উচ্চারণ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। অর্থ “আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
নিয়ত করার সময়
- নিয়ত করার সর্বোত্তম সময় হলো সেহরির সময়।
- রাতের যেকোনো সময় নিয়ত করা যাবে।
- ফজরের আযানের আগে নিয়ত করলেই রোজা আদায় হবে।
- নিয়ত মনে মনে করা যাবে।
- মুখে উচ্চারণ করাও যাবে।
- নিয়তের সময় কিবলামুখী হওয়া উত্তম।
নফল রোজার কিছু ফজিলত
- নফল রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
- নফল রোজা পাপ-পঙ্কিলতা ধুয়ে ফেলে।
- নফল রোজা জান্নাতের পথ সুগম করে।
নফল রোজার কিছু নিয়ম
- নফল রোজা রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন নির্ধারিত নেই।
- যেকোনো দিন নফল রোজা রাখা যাবে।
- তবে, রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসে নফল রোজা রাখা উত্তম।
- নফল রোজা শুরু করার পর তা ভেঙে ফেলা মাকরুহ।
নফল রোজার কিছু ক্ষেত্র
- শবে বরাত: শবে বরাতের রাতে নফল রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- শা’বান মাস: শা’বান মাসের অধিকাংশ দিন নফল রোজা রাখা উত্তম।
- আশুরার দিন: আশুরার দিন নফল রোজা রাখা সুন্নত।
- সোমবার ও বৃহস্পতিবার: সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা উত্তম।
উল্লেখ্য
- নফল রোজা রাখার আগে শারীরিকভাবে সক্ষম কিনা তা নিশ্চিত করে নেওয়া উচিত।
- যারা অসুস্থ, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী, তাদের নফল রোজা রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা
নিয়ত করার সময়
- নিয়ত করার সর্বোত্তম সময় হলো সেহরির সময়।
- রাতের যেকোনো সময় নিয়ত করা যাবে।
- ফজরের আযানের আগে নিয়ত করলেই রোজা আদায় হবে।
নিয়ত করার নিয়ম
- নিয়ত মনে মনে করা যাবে।
- মুখে উচ্চারণ করাও যাবে।
- নিয়তের সময় কিবলামুখী হওয়া উত্তম।
ইফতারের দোয়া
বাংলা | “হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রোজা রেখেছি এবং তোমার রহমত দিয়ে ইফতার করছি। তুমিই পরম দানকারী।” |
ইফতারের দোয়া করার নিয়ম
- ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করা উত্তম।
- ইফতারের পর দোয়া পড়া।
- দোয়া পড়ার সময় কিবলামুখী হওয়া উত্তম।
আরও কিছু দোয়া
- “আল্লাহুম্মা গফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ওয়ালমু’মিনাত।”
অর্থ
“হে আল্লাহ! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুসলিম-মুসলিমাকে ক্ষমা করো।”
- “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউন তুহিব্বুল ‘আফু ফা’ফু ‘আন্নি।”
অর্থ
“হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো। তাই আমাকে ক্ষমা করো।”
উল্লেখ্য
- নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া মুখস্থ না হলেও চলে।
- বাংলা অনুবাদ দেখে দোয়া পড়া যেতে পারে।
নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়
নফল রোজার নিয়ত করার সর্বোত্তম সময় হলো সেহরির সময়।
তবে, রাতের যেকোনো সময় নিয়ত করা যাবে।
ফজরের আযানের আগে নিয়ত করলেই রোজা আদায় হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
- সেহরির সময় নিয়ত করলে পুরো দিনের রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
- যদি সেহরির পর নিয়ত করেন, তবে সে সময় থেকে পরবর্তী ফজরের আযান পর্যন্ত রোজা আদায় হবে।
- ফজরের আযানের পর নিয়ত করলে রোজা আদায় হবে না।
- আজকের রাতে আপনি যদি আগামীকালের জন্য নফল রোজার নিয়ত করতে চান, তবে সেহরির সময় নিয়ত করা সবচেয়ে ভালো।
- যদি সেহরির সময় নিয়ত করতে না পারেন, তবে রাতের যেকোনো সময় নিয়ত করতে পারেন।
- তবে, ফজরের আযানের আগে অবশ্যই নিয়ত করতে হবে।
মানত রোজার নিয়ত
মানত রোজার নিয়ত করার জন্য নির্দিষ্ট কোন আরবি বাক্য নেই। তবে কিছু বাক্য প্রচলিত আছে যেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরবি নিয়ত:
“নওয়াইতু আন আসুমা গাদান লিল্লাহি তা’আলা আদায়ান লি মানতিন ‘আলাইয়া”
অর্থ
“আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমার পূর্বের মানত পূরণের জন্য মানত রোজা রাখার নিয়ত করলাম।”
নিয়ত করার সময়
- নিয়ত করার সর্বোত্তম সময় হলো সেহরির সময়।
- রাতের যেকোনো সময় নিয়ত করা যাবে।
- ফজরের আযানের আগে নিয়ত করলেই রোজা আদায় হবে।
নিয়ত করার নিয়ম
- নিয়ত মনে মনে করা যাবে।
- মুখে উচ্চারণ করাও যাবে।
- নিয়তের সময় কিবলামুখী হওয়া উত্তম।
মানত রোজার কিছু ফজিলত
- মানত রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
- মানত রোজা পাপ-পঙ্কিলতা ধুয়ে ফেলে।
- মানত রোজা জান্নাতের পথ সুগম করে।
মানত রোজার কিছু নিয়ম
- মানত রোজা রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট দিন নির্ধারিত নেই।
- যেকোনো দিন মানত রোজা রাখা যাবে।
- তবে, রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসে মানত রোজা রাখা উত্তম।
- মানত রোজা শুরু করার পর তা ভেঙে ফেলা মাকরুহ।