বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সময়,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম বাংলা উচ্চারণ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি বাংলা উচ্চারণ সহ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কি, আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথে জানতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ। পবিত্র কোরআনে এ শব্দের ব্যবহার রয়েছে।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার তাঝে কিছু প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম:
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দুই রাকাআত করে এ নামাজ আদায় করতেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ ২ থেকে ১২ রাকাআত পর্যন্ত পড়া বর্ণনা পাওযা যায়। সর্ব নিম্ন ২ রাকাআত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়াই ভালো। তবে এটা পড়া আবশ্যক নয়।
লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।
– তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।
– অতঃপর ছানা পড়া।
– সুরা ফাতেহা পড়া।
– সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক লম্বা কেরাত পড়তেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত |
আরবিত |
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر |
বাংলা উচ্চারণ |
নাওয়াইতু আন উছোয়াল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাতাই ছলাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবর । |
অর্থ |
“আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া তাহাজ্জুদের দু-রাকআত নফল নামাজের নিয়ত করিলাম। আল্লাহু আকবার।” |
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।|