বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে চার কুল পড়ার নিয়ম
Table of Contents
চার কুল পড়ার নিয়ম
চার কুল হলো পবিত্র কুরআনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চারটি সূরা। এই সূরাগুলি তাদের সংক্ষিপ্ততা, গুরুত্বপূর্ণ বার্তা এবং ঐশ্বরিক সুরক্ষার জন্য বিখ্যাত। নিয়মিত চার কুল পাঠের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং জাগতিক ও পরকালীন সুখ-শান্তি লাভ করতে পারি।
চার কুল হলো পবিত্র কুরআনের চারটি সূরা যা তাদের শুরুর শব্দ “কুল” দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই সূরাগুলি হলো:
- সূরা কাফিরুন (সূরা 109)
- সূরা ইখলাস (সূরা 112)
- সূরা ফালাক (সূরা 113)
- সূরা নাস (সূরা 114)
এই সূরাগুলি তাদের সংক্ষিপ্ততা, গুরুত্বপূর্ণ বার্তা এবং ঐশ্বরিক সুরক্ষার জন্য বিখ্যাত।
চার কুলের ফজিলত:
- হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন।” (তিরমিযী)
- অন্য হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করবে তার জন্য সেই রাতে আল্লাহ্ তায়ালা ছাড়া অন্য কোনো কিছুর ক্ষতি করার ক্ষমতা থাকবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
চার কুলের তাৎপর্য:
- সূরা কাফিরুন: এই সূরায় আল্লাহ্ তায়ালার একত্ব ও অংশীদারহীনতার উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
- সূরা ইখলাস: এই সূরায় আল্লাহ্ তায়ালার একত্ব ও তাঁর গুণাবলীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
- সূরা ফালাক: এই সূরায় সকল প্রকার শয়তানি ও অশুভ শক্তির হাত থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
- সূরা নাস: এই সূরায় মানুষকে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
চার কুল পাঠের নিয়ম:
- চার কুল সাধারণত ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর পাঠ করা হয়।
- এছাড়াও, ঘুমানোর পূর্বে চার কুল পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- চার কুল পাঠের সময় তাওয়াজু করা উত্তম।
- চার কুলের অর্থ বুঝে পাঠ করলে এর ফজিলত আরও বেশি হয়।
চার কুল পড়ার নিয়ম
- কিবলা অভিমুখে বসা।
- আ’উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম বলা।
তারপর
- সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
এরপর
- সূরা কাফিরুন পাঠ করা।
- সূরা ইখলাস পাঠ করা।
- সূরা ফালাক পাঠ করা।
- সূরা নাস পাঠ করা।
প্রতিটি সূরা শেষে:
- আ’উযু বিল্লাহি মিনাল্লাহি বলা।
শেষে:
- দু’আ করা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- সঠিক উচ্চারণে চার কুল পাঠ করা উচিত।
- অর্থ বুঝে পাঠ করলে এর ফজিলত আরও বেশি হয়।
- মনোযোগ সহকারে পাঠ করা উচিত।
- নিয়মিত পাঠ করা উচিত।
চার কুল পাঠের সময়
- ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
- ঘুমানোর পূর্বে চার কুল পাঠ করা উচিত।
- যে কোন সময় চার কুল পাঠ করা যায়।
চার কুল পাঠের ফজিলত
- আল্লাহ্ তায়ালার সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
- জাগতিক ও পরকালীন সুখ-শান্তি লাভ করা যায়।
- সকল প্রকার শয়তানি ও অশুভ শক্তির হাত থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সুরক্ষা লাভ করা যায়।
চার কুল ও আয়াতুল কুরসির ফজিলত
চার কুল
- সূরা কাফিরুন:
- আল্লাহ্ তায়ালার একত্ব ও অংশীদারহীনতার উপর আলোকপাত করে।
- কাফিরদের বিশ্বাস ও আচরণের বর্ণনা দেয়।
- মুসলমানদের কাফিরদের সাথে সম্পর্কের নীতি নির্ধারণ করে।
- সূরা ইখলাস
- আল্লাহ্ তায়ালার একত্ব ও তাঁর গুণাবলীর বর্ণনা দেয়।
- তাওহীদের বিশুদ্ধ রূপ তুলে ধরে।
- শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে।
- সূরা ফালাক
- সকল প্রকার শয়তানি ও অশুভ শক্তির হাত থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
- ভোরের আলো, রাতের অন্ধকার, জাদুকরী গিরা এবং ঈর্ষাকারী ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
- সূরা নাস
- মানুষকে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
- ওয়াসওয়াসকারী শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে।
চার কুল পাঠের ফজিলত
- হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন।” (তিরমিযী)
- অন্য হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পাঠ করবে তার জন্য সেই রাতে আল্লাহ্ তায়ালা ছাড়া অন্য কোনো কিছুর ক্ষতি করার ক্ষমতা থাকবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
আয়াতুল কুরসি
- সূরা বাকারার 255 নম্বর আয়াত।
- কুরআনের সবচেয়ে বড় আয়াত।
- আল্লাহ্ তায়ালার গুণাবলী ও ক্ষমতার বর্ণনা দেয়।
- আল্লাহ্ তায়ালার একত্ব ও তাঁর অনন্যতার উপর আলোকপাত করে।
- মুশরিকদের বিশ্বাস ও আচরণের সমালোচনা করে।
আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত
- হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই তার মৃত্যুর মধ্যে বাধা হবে না।” (তিরমিযী)
- অন্য হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ্ তায়ালা তার ঘুমের সময় একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন যা তাকে