ওমরার সফরে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হওয়া যাবে কিনা
ওমরার সফরে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন
- তাদের মাহরাম হওয়া: ইসলামে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য মাহরাম। এর মানে হলো তাদের একে অপরের সামনে কিছু শরীরের অংশ উন্মুক্ত রাখা জায়েজ।
- তাঁদের আলাদা আলাদা গ্রুপে থাকা: যদি স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা গ্রুপে থাকে, তাহলে তাদের মিলিত হওয়ার জন্য গ্রুপ লিডারদের অনুমতি নিতে হবে।
- তাদের মিলনের উদ্দেশ্য: স্বামী-স্ত্রী যদি শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে মিলিত হতে চায়, তাহলে তাদের মিলিত হতে কোনো বাধা নেই। তবে, যদি তাদের মিলনের উদ্দেশ্য অনৈতিক হয়, তাহলে তা হারাম হবে।
কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত
- স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করতে হবে।
- তাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যা অন্য তীর্থযাত্রীদের বিরক্ত করতে পারে।
- তাদের সর্বদা ইসলামের নীতি মেনে চলতে হবে।
- হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে ওমরাহ করেছি। আমরা হুদায়বিয়ায় ছিলাম। যখন আমরা ইহরাম পরেছিলাম, তখন আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে একই ক্ষেত্রে ছিলাম। যখন আমরা কা’বায় পৌঁছালাম, তখন আমি তাঁর থেকে পিছিয়ে পড়ে গেলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আমার সামনে এসো।’ আমি বললাম, ‘আমি কি আপনার সামনে এসে পারব?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি আমার স্ত্রী।'” (বুখারী)
- হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘একজন পুরুষ তার স্ত্রী বা কন্যাকে দীর্ঘ ভ্রমণে পাঠানো উচিত নয়।'” (আবু দাউদ)
ওমরার সফরে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। ইসলামে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য মাহরাম। তবে, তাদের মিলিত হওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।