বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আল্লাহর আরশ কোথায়
কুরআন ও হাদিসে আল্লাহর আরশের অবস্থান স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, বিভিন্ন আয়াত ও হাদিস থেকে কিছু ধারণা পাওয়া যায়
কুরআনের বর্ণনা
- আকাশের সাত তলা উপরে: কুরআনে বলা হয়েছে, “আরশ আকাশ ও পৃথিবীকে ধারণ করে আছে” ([Quran 11:32])। অন্যত্র বলা হয়েছে, “আরশ আকাশের পানি থেকে উপরে” ([Quran 17:50])। এসব আয়াত থেকে অনেকে মনে করেন, আল্লাহর আরশ সাত তলা আকাশের উপরে অবস্থিত।
- সৃষ্টির সর্বোচ্চ স্থান: কুরআনে আরও বলা হয়েছে, “তিনি সর্বোচ্চ স্থানে আরশ স্থাপন করেছেন” ([Quran 43:58])। এই বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, আরশ সৃষ্টির সকল জিনিসের উপরে অবস্থিত।
- নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মসজিদের ছাদ: কিছু হাদিসে বর্ণিত আছে যে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) একবার মসজিদের ছাদে বসে আরশের কথা বলছিলেন। তখন তিনি বলেন, “আমার ও আরশের মধ্যে কেবলমাত্র তিন তাল বৃক্ষের পাতার চেয়ে বেশি ব্যবধান নেই” ([Sahih Bukhari 6:321])। তবে, অনেকে এই হাদিসকে রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করেন।
- আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে: অন্য কিছু হাদিসে বলা হয়েছে যে, আরশ আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে যেকোনো স্থানে থাকতে পারে।
সর্বোপরি
আল্লাহর আরশ কোথায় অবস্থিত, তা আমাদের জ্ঞানের বাইরে। এটি আল্লাহর গোপন রহস্য। ঈমানের অংশ হলো, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতার সীমাহীনতাকে স্বীকার করা।
উল্লেখ্য
- কিছু মুসলিম পণ্ডিত মনে করেন, আরশ একটি বস্তুগত স্থান। অন্যরা মনে করেন, এটি আল্লাহর শক্তি ও কর্তৃত্বের রূপক প্রতীক।
- আল্লাহর আরশের বিশদ বিবরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকাই ভালো, কারণ এটি ঈমানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আল্লাহর আরশ কোথায়