বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সুবহানাল্লাহ বলার ফজিলত
Table of Contents
সুবহানাল্লাহ বলার ফজিলত
সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ হলো “আল্লাহ পবিত্র”। এটি একটি তাসবিহ বা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনাকারী বাক্য। সুবহানাল্লাহ বলার অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো
- এক হাজার নেকি বা এক হাজার গুনাহ মাফ হয়: হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার নেকি অর্জন করতে সক্ষম?”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “১০০ বার سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ) বললে, তার জন্য এক হাজার হাজার নেকি লেখা হবে। অথবা তার এক হাজার পাপ মোচন করা হবে।” (মুসলিম, মিশকাত)
- আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত)
- মনের প্রশান্তি লাভ হয়: সুবহানাল্লাহ বলার মাধ্যমে মানুষের মনে প্রশান্তি ও শান্তি বিরাজ করে। এটি মানুষের মনকে সকল প্রকার নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
- শয়তানকে দূরে রাখে: সুবহানাল্লাহ বলা শয়তানকে দূরে রাখে। এটি মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও সচেতনতা সৃষ্টি করে।
- আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়: সুবহানাল্লাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
সুতরাং, সুবহানাল্লাহ বলার ফজিলত অনেক। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ বলার চেষ্টা করা।
সুবহানাল্লাহ বললে কি বলতে হয়
সুবহানাল্লাহ বলতে হলে উচ্চারণ করতে হবে “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি”। এর অর্থ হলো “আল্লাহ পবিত্র এবং তাঁর প্রশংসা সর্বোত্তম”।
সুবহানাল্লাহ বলার অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো
- গুনাহ মাফ হয়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করার পর এই দোয়া (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়ালাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির) ১বার পাঠ করে মোট ১০০ বার পূর্ণ করবে তার সমস্ত গুনাহ(ছগীরা) মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সুমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।” (সহিহ মুসলিম: ১৩৮০)
- জান্নাতের অধিকারী হয়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত)
- আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়: সুবহানাল্লাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করা। এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলার চেষ্টা করা।
সুবহানাল্লাহ বলার সময় মনে রাখতে হবে যে, এটি একটি ঈমানী বাক্য। এটি বলার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেই। সুতরাং, এটি বলতে হবে যথাযথ শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে।
সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়
সুবহানাল্লাহ বলার অনেক সময় রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো
- আল্লাহর গুণাবলী বর্ণনা করার সময়: যেমন, আল্লাহর সৃষ্টির সৌন্দর্য, আল্লাহর ক্ষমতা, আল্লাহর রহমত, ইত্যাদি বর্ণনা করার সময়।
- আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সময়: যেমন, আল্লাহর দান-অনুগ্রহ, আল্লাহর সাহায্য, ইত্যাদির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সময়।
- আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময়: যেমন, কোনো গুনাহ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময়।
- আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার সময়: যেমন, কোনো বিপদে বা কষ্টে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার সময়।
- আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য: যেকোনো সময় আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সুবহানাল্লাহ বলা যেতে পারে।
সুবহানাল্লাহ বলার বিশেষ কিছু সময় রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো
- সকাল ও সন্ধ্যায়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত)
- নামাযের পরে: নামাযের পরে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলা সুন্নাত।
- তিলাওয়াতের পরে: কুরআন তিলাওয়াতের পরে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি বলা সুন্নাত।
- ঘুমানোর আগে: ঘুমানোর আগে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ১০০ বার বলার কথা হাদীসে এসেছে।
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, সুবহানাল্লাহ বলার সময়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ বলার চেষ্টা করা।
সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার
সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার বলার অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো
- গুনাহ মাফ হয়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করার পর এই দোয়া (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়ালাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির) ১বার পাঠ করে মোট ১০০ বার পূর্ণ করবে তার সমস্ত গুনাহ(ছগীরা) মাফ হয়ে যাবে; যদিও তা সুমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।” (সহিহ মুসলিম: ১৩৮০)
- জান্নাতের অধিকারী হয়: হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত)
- আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়: সুবহানাল্লাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়।
সুতরাং, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, প্রত্যেক ফরয সালাতের পর সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার পাঠ করা। এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম) বলার চেষ্টা করা।
সুবহানাল্লাহ বলার ফজিলত
সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ হলো “আল্লাহ পবিত্র”। এটি একটি তাসবিহ বা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনাকারী বাক্য। সুবহানাল্লাহ বলার অনেক ফজিলত রয়েছে।
সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার
সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার বলার অনেক ফজিলত রয়েছে।