বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শব্দ বা কাশি দিলে কি নামাজ নষ্ট হবে
শব্দ বা কাশি নামাজের জন্য হালকা মাকরুহ।
- শব্দ বলতে বুঝায় মুখ দিয়ে এমন শব্দ বের করা যা অন্যদের মনোযোগ বিঘ্নিত করে।
- কাশি হলো স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া।
নামাজে শব্দ বা কাশি হলে নামাজ নষ্ট হবে না, যদি না নিম্নলিখিত শর্তগুলির মধ্যে কোনটি পূরণ হয়
- যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন শব্দ করে যা অন্যদের মনোযোগ বিঘ্নিত করে, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
- উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি হেসে, কথা বলে, গান গায়, অথবা চিৎকার করে, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
২. অতিরিক্ত কাশি
- যদি কারো কাশি অত্যধিক হয় এবং বারবার হয়, এবং তা অন্যদের মনোযোগ বিঘ্নিত করে, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
- তবে, যদি কারো স্বাভাবিকভাবে কাশি হয় এবং তা খুব বেশি বার না হয়, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হবে না।
৩. নামাজের নিয়ম লঙ্ঘন
- যদি কেউ শব্দ বা কাশির মাধ্যমে নামাজের কোন নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
- যদি কেউ কাশির সময় রুকুর অবস্থা থেকে মাথা উঠিয়ে ফেলে, তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
শব্দ বা কাশি থেকে নামাজ রক্ষা করার উপায়
- নামাজের পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
- নামাজের সময় মুখোশ পরা।
- কাশি আসলে নাপাক জায়গায় মুখ ঢেকে কাশি করা।
- কাশি বন্ধ করার জন্য ঔষধ সেবন করা।
মনে রাখবেন
- নামাজের সময় শব্দ বা কাশি হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।
- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনোযোগ নামাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
- যদি অনিশ্চিত থাকেন যে নামাজ নষ্ট হয়েছে কিনা, তাহলে আলেম সাথে পরামর্শ করুন।
শব্দ বা কাশি দিলে কি নামাজ নষ্ট হবে,শব্দ বা কাশি দিলে কি নামাজ নষ্ট হবে