বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শবে বরাতের ফজিলত
Table of Contents
শবে বরাতের ফজিলত:
শবে বরাত ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত।
শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
- ক্ষমা ও রহমতের রাত:
এই রাতে আল্লাহ তা’আলা অগণিত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
- দোয়া কবুলের রাত
- ভাগ্যলিপি লেখার রাত:
এই রাতে আগামী এক বছরের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করা হয়।
- রিজিক নির্ধারণের রাত:
এই রাতে আগামী এক বছরের রিজিক নির্ধারণ করা হয়।
- মুক্তির রাত:
এই রাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
শবে বরাতের রাতে করণীয়:
- নামাজ-ইবাদত:
এই রাতে রাত জেগে নামাজ-ইবাদত করা উত্তম।
এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশীর্বাদের জন্য দোয়া-দরুদ করা উত্তম।
- কোরআন তেলাওয়াত:
এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করা উত্তম।
- সদকা-খয়রাত:
এই রাতে সদকা-খয়রাত করা উত্তম।
- মৃতদের জন্য দোয়া:
এই রাতে মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য দোয়া করা উত্তম।
শবে বরাতের রাতে বর্জনীয়:
- অল্প ঘুম:
এই রাতে অল্প ঘুমানো উচিত।
- পাপাচার:
এই রাতে পাপাচার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- ঝগড়া-বিবাদ:
এই রাতে ঝগড়া-বিবাদ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
শবে বরাতের রাত একটি বরকতময় রাত।
এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশীর্বাদের জন্য দোয়া-দরুদ করা এবং নামাজ-ইবাদত করার মাধ্যমে
আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা উচিত।
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
ক্ষমা ও রহমতের রাত:
- হজরত আবু মুসা আল-আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা অর্ধ শাবানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেন ও মুশরিক (আল্লাহর সাথে শিরককারী) এবং মুশাহিন (হিংসুক) ব্যতীতসকলকে ক্ষমা করে দেন।“
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৩৯০)
- হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে তখন আল্লাহ তা’আলা জিবরাইল (আঃ)-কে বলেন, ‘হে জিবরাইল! আমার বান্দাদেরকে ডাক দাও যে, আমি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আমি ক্ষমা চাইকারীদের ক্ষমা করি, তওবাকারীদের তওবা কবুল করি এবং রিযিক প্রার্থীদের রিযিক প্রদান করি।‘”
(তিরমিযী, হাদিস নং: ৩৫৪৮)
দোয়া কবুলের রাত:
- হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
(ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৩৮৮)
ভাগ্যলিপি লেখার রাত:
- হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“তিনটি রাতে কলম তোলা হয় এবং রায় লেখা হয়: … অর্ধ শাবানের রাত।”
(ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ১৩৮৯)
রিজিক নির্ধারণের রাত:
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“অর্ধ শাবানের রাতে আগামী এক বছরের রিযিক বন্টন করা হয়।”
(আহমাদ, হাদিস নং: ৭৭৭৪)
মুক্তির রাত:
- হজরত আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“অর্ধ শাবানের রাতকে ‘বরাত’ বলা হয় কারণ এই রাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।”
(তাবারানী, হাদিস নং: 588)
শবে বরাতের রাতে করণীয়:
- নামাজ-ইবাদত:
এই রাতে রাত জেগে নামাজ-ইবাদত করা উত্তম।
- দোয়া-দরুদ:
এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও আশীর্বাদের জন্য দোয়া-দরুদ করা উত্তম।
- কোরআন তেলাওয়াত:
এই রাতে কোরআন তেলাওয়াত করা উত্তম