শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত

শবে বরাতের নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। তবে, রাসুল (সাঃ) এই রাতে নফল নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

কত রাকাত পড়তে পারেন

  • আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যত রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারেন।
  • অনেকে দুই রাকাত করে নামাজ পড়েন।
  • কিছু কিছু লোক ৮, ১২, ১৬, অথবা আরও বেশি রাকাত নামাজ পড়েন।
  • আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পারেন পড়ুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্ধারণে কোন হাদিস নেই।
  • সূরা ফাতেহা ও অন্য যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
  • শবে বরাতের রাত জেগে ইবাদত করা উত্তম।
  • দোয়া, তাসবীহ, তাহলীল পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা এই রাতের অন্যতম আমল।
google News

শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত এবং যেভাবে পড়বেন

শবে বরাতের নামাজ: রাকাত ও পদ্ধতি

শবে বরাতের নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। হাদিসে এই রাতে নফল নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।

আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যত রাকাত নামাজ পড়তে পারেন। অনেকে দুই রাকাত করে নামাজ পড়েন। কিছু কিছু লোক ৮, ১২, ১৬, অথবা আরও বেশি রাকাত নামাজ পড়েন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পারেন পড়ুন।

কিভাবে পড়বেন

  • নিয়ত: নামাজ শুরু করার আগে, আপনার নিয়ত করুন যে আপনি কত রাকাত নফল নামাজ পড়বেন।
  • তাকবির: “আল্লাহু আকবার” বলে নামাজ শুরু করুন।
  • সূরা ফাতেহা: প্রতিটি রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ুন।
  • অন্য সূরা: সূরা ফাতেহার পরে আপনি যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
  • রুকু ও সিজদা: রুকু ও সিজদা করুন।
  • সালাম: “আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে নামাজ শেষ করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্ধারণে কোন হাদিস নেই।
  • সূরা ফাতেহা ও অন্য যেকোনো সূরা পড়তে পারেন।
  • শবে বরাতের রাত জেগে ইবাদত করা উত্তম।
  • দোয়া, তাসবীহ, তাহলীল পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা এই রাতের অন্যতম আমল।

শবে বরাতে রোজা রাখা যাবে কি না

হ্যাঁ, শবে বরাতে রোজা রাখা যাবে। শবে বরাতের রোজা ফরজ নয়, তবে এটি একটি নফল রোজা এবং এর অনেক ফজিলত রয়েছে।

শবে বরাতে রোজা রাখার কিছু ফজিলত

  • হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করেন। এই রাতে রোজা রাখলে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার আশা করা যায়।
  • শবে বরাতের রাতে রোজা রাখলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
  • এই রাতে রোজা রাখলে পরকালে সওয়াব পাওয়া যাবে।

শবে বরাতে রোজা রাখার নিয়ম

  • শবে বরাতের রোজা রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
  • আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী শবে বরাতের আগে, পরে, অথবা এই রাতেই রোজা রাখতে পারেন।
  • রোজার নিয়ম মেনে চলুন, যেমন সাহারি খাওয়া, সারাদিন সিয়াম পালন করা, এবং ইফতার করা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • শবে বরাতের রোজা ফরজ নয়, তাই আপনার যদি শারীরিক অসুস্থতা থাকে, রোজা না রাখাই ভালো।
  • রোজার সময় মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, রাগ করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।
  • বেশি বেশি দোয়া, তাসবীহ, তাহলীল পড়ুন এবং কোরআন তেলাওয়াত করুন।

শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কীভাবে রাখতে হয়

শবে বরাতের রোজা রাখার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। হাদিসে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হলেও এর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।

কত রোজা রাখতে পারেন

  • আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এক, দুই, তিন, অথবা আরও বেশি রোজা রাখতে পারেন।
  • শাবান মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের নফল রোজা রাখা উত্তম।
  • অনেক লোক শবে বরাতের আগে ও পরে একদিন করে মোট তিনটি রোজা রাখেন।
  • আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু পারেন রাখুন।

কিভাবে রাখবেন

  • সাহারি: ভোরের আলো ফোটার আগে সাহারি খাওয়া উত্তম।
  • নিয়ত: রোজা শুরু করার আগে, আপনার নিয়ত করুন যে আপনি শবে বরাতের রোজা রাখছেন।
  • রোজার নিয়ম: রোজার সময় সারাদিন সিয়াম পালন করুন।
  • ইফতার: সূর্যাস্তের পর ইফতার করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • শবে বরাতের রোজা ফরজ নয়, নফল।
  • যদি আপনার শারীরিক অসুস্থতা থাকে, রোজা না রাখাই ভালো।
  • রোজার সময় মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, রাগ করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।
  • বেশি বেশি দোয়া, তাসবীহ, তাহলীল পড়ুন এবং কোরআন তেলাওয়াত করুন।

শবে বরাতের আমল ও ফজিলত এবং আমাদের করণীয় কি

শবে বরাতের ফজিলত ও আমল

  • ক্ষমা লাভের রাত: এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের গুনাহ ক্ষমা করেন। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, “শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের দিকে তাকান না এবং যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করে তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেন।” (তিরমিযী)
  • ভাগ্য লিপিবদ্ধ রাত: এ রাতে আগামী এক বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
  • দোয়া কবুলের রাত: এ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আমাদের করণীয়

  • নফল নামাজ: এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উচিত।
  • কোরআন তেলাওয়াত: এ রাতে কোরআন তেলাওয়াত করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
  • দোয়া ও ইস্তেগফার: এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করা উচিত।
  • জিকির ও তাসবীহ: এ রাতে জিকির ও তাসবীহ করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
  • দান-সদকা: এ রাতে দান-সদকা করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
  • কবর জিয়ারত: এ রাতে কবর জিয়ারত করে মৃতদের জন্য দোয়া করা উচিত।
  • পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটানো: এ রাতে পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটানো উচিত।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • শবে বরাতের রাতে রোজা রাখা সুন্নত।
  • এই রাতে বিশেষ কোন আমল নেই।
  • এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি আমাদের নফসের হেদায়েতের জন্যও দোয়া করা উচিত।
  • এই রাতে আমাদের রাত জাগার চেষ্টা করা উচিত।
  • এই রাতে আমাদের পাপাচার থেকে তওবা করা উচিত।

আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

Hello Moon google News Hello Moon এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

শেয়ার করুন
Facebook
WhatsApp
Twitter
Email
LinkedIn
আমার সম্পর্কে
Picture of Hello Moon

Hello Moon

আস-সালামু আলাইকুম, আমি মুন। ইসলামিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার পাশে থাকার তীব্র ইচ্ছা আমার। আপনিও Hellomoon.me কে নিয়মিত ভিজিট করে আমাকে পাশে রাখুন। 

ধন্যবাদ
error: Content is protected !!