বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে জুম্মা মোবারক ছোট হাদিস
জুম্মা মোবারকের ছোট হাদিস
১. জুমার ফজিলত
- আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম (আঃ) সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর জুমার দিনই কিয়ামত সংঘটিত হবে।” (সহীহ বুখারী)
২. জুমার গুরুত্ব
- আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “যে ব্যক্তি জুমার দিন সকালে গোসল করে, তারপর মসজিদে যায় এবং খুতবা শুনে মনোযোগ সহকারে, তার পূর্ববর্তী জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (সহীহ বুখারী)
- আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “সূর্য উদয়ের পর থেকে জুমার নামাজের সময় শুরু হয় এবং খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়।” (সহীহ মুসলিম)
৪. জুমার নামাজে হাজিরার গুরুত্ব
- আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “যে ব্যক্তি তিন জুমা পরপর বিনা কোনো ওজর ছাড়াই ছেড়ে দেয়, সে আল্লাহর অবাধ্যতা করে।” (সহীহ মুসলিম)
৫. জুমার দিনে দোয়া
- আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “জুমার দিনে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, যে সময়ে একজন মুসলিম দোয়া করলে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। আর সেই সময়টি খুতবার সময়।” (সহীহ বুখারী)
এই ছোট্ট হাদিসগুলো জুম্মা মোবারকের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্পষ্ট করে।
জুম্মার দিন আমাদের সকলের জন্য বারকত ও কল্যাণময় হোক।
জুম্মা মোবারক ছোট হাদিস,জুম্মা মোবারক ছোট হাদিস