জিকিরের ফজিলত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম. আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে জিকিরের ফজিলত

জিকির,জিকিরের ফজিলত,শ্রেষ্ঠ জিকির,জিকির সমূহ,আল্লাহর জিকির,আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির,সহজ ১০ টি জিকির,কলবের জিকির,জিকির করার নিয়ম,৪ টি জিকির,জিকিরের ফজিলত,আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একসাথে জানতে পারবেন।

Hello Moon

 

সব ইবাদতের রুহ হচ্ছে আল্লাহর জিকির।জিকির তথা আল্লাহর স্মরণে মুমিন হৃদয় প্রশান্ত হয়। জিকিরে কারণে ইবাদতের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।

‘যারা আল্লাহর জিকির করে এবং যারা করে না, তাদের দৃষ্টান্ত জীবিত ও মৃ’ত ব্যক্তির মতো।’(সহিহ বুখারি: ৬৪০৭)

ভিন্ন ভিন্ন কালেমা সম্বলিত জিকিরের অনেক বর্ণনা রয়েছে হাদিসে। তারমধ্যে কিছু জিকির এমন, যেগুলো পাঠ করা খুবই সহজ, কিন্তু সওয়াব অফুরন্ত।

 

১০ জিকির আরবি,বাংলা,অর্থ:

سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ সুবহানাল্লাহ পাঠ করলে ১হাজার সওয়াব লেখা হয় এবং ১হাজার গুনাহ মাফ করা হয়।
ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য) মিজানের পাল্লাকে ভারী করে এবং সর্বোত্তম দোয়া।
لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই)হলো সর্বোত্তম জিকির।
ٱللَّٰهُ أَكْبَرُ আল্লাহু আকবার আল্লাহ [সবকিছুর চেয়ে] মহান।
أَسْتَغْفِرُ ٱللَّٰهَ আস্তাগফিরুল্লাহ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর’ পৃথিবীর সকলকিছুর চেয়ে আল্লাহর রাসুলের (স.) কাছে অধিক প্রিয়।
أَسْتَغْفِرُ ٱللَّٰهَ رَبِّي وَأَتُوبُ إِلَيْهِ আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি ওয়া আতুবু ইলাইহি আমি আমার প্রভু আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তওবা করছি।
سُبْحَانَ ٱللَّٰهِ وَبِحَمْدِهِ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (মহিমান্বিত আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর) প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করলে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।
سُبْحَانَ رَبِّيَ ٱلْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ সুবহানা রব্বিয়াল আযীম ওয়া বিহামদিহি মহিমান্বিত আমার আল্লাহ, মহান, এবং সকল প্রশংসা তাঁর।
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللَّٰهِ ٱلْعَلِيِّ ٱلْعَظِيمِ ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’  হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে একটি গুপ্তধন।
Spread the love

মন্তব্য করুন