পাপমোচনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হলো আল্লাহর কাছে তওবা করা।আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা । পাপে ভুগে মানুষ যখন হুঁশ হারিয়ে ফেলে, তখন তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে স্রষ্টার নিকট ফিরে
গিয়ে মানুষ সঠিক পথের দিশা খুঁজে পেতে পারে। এজন্যে ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক গুনাহ তথা অন্যায় থেকে তওবা করা ওয়াজিব।
তবে যদি শরিয়তের দৃষ্টিতে অপরাধমূলক কাজ তথা গুনাহ আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে হয় ও তার সঙ্গে কোনো মানুষের হক জড়িত না থাকে, তবে তা থেকে তওবা করার তিনটি শর্ত রয়েছে। আর তা তওবা কবুলের শর্তও বটে। প্রথমত, তওবাকারীকে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, সে তার কৃত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে আল্লাহর কাছে । তৃতীয়ত, তাকে পুনরায় গুনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
এ তিনটি শর্তের মধ্যে যদি কোনো একটি অপূর্ণ থাকে; তবে তাওবা কখনো বিশুদ্ধ হবে না। তাওবার ফলাফল লাভ করা যাবে না।
‘হে ইমানদাররা! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। সূরা নুর আয়াত ৩১।
তওবা করলে আল্লাহ শুধু ক্ষমাই করেন না। বরং ‘কেউ তওবা করলে, ঈমান আনলে এবং সৎকর্ম করলে। আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা ফুরকান: ৬৮-৭০)